শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ২ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবাদে মুন্সিবাজার- মৌলভীবাজার সড়ক ১ ঘন্টা অবরোধ করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত ৯ টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সিবাজারে। এ ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ এর সোলেমান গ্রæপ ও হারুনুর রশীদ গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে আহত হন বড়চেগ গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে রেদওয়ান খান ও ছয়কুট গ্রামের আছকির মিয়ার ছেলে ফজর আলী। আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা পর সোলেমান গ্রæপের শনিবার রাতে বড়চেগ ও ছয়কুট এলাকায় মৌলভীবাজার-মুন্সীবাজার রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রায় ঘন্টা খানিক পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় তারা। এ ঘটনায় আহত রেদওয়ান খানের মা ছকিরা খানম বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল গেল কয়েকমাস ধরে। দুইটি পক্ষেই আওয়ামী লীগের দুইজন প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন। আহত রেদওয়ান খান জানান, গত শনিবার মুন্সিবাজারে আমাদেরকে কুপিয়ে আহত করেছে। এর আগে গত বুধবারও মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে হারুনুর রশিদ দা দিয়ে আমার ভাইসহ তিনজনকে গুরুতর আহত করেছে।
এ বিষয়ে মামলার আসামী মুন্সীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা জুনেল আহমেদ তরফদার জানান, এঘটনার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। ঘটনার সময় তিনি ছয়চিরী এলাকায় তার মৎস্য খামারে ছিলেন। তাদের দুপক্ষের বালু উত্তোলনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এটি তাদের পারিবারিক বিরোধ। এজন্য সড়ক অবরোধ করা হলো কার ইন্ধনে। তবে বক্তব্য জানতে চেয়ে সোলেমান মিয়া ও হারুনুর রশিদকে পাওয়া যায়নি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে আসামিদেরকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।