1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রাজধানীর হাসপাতালগুলো হিমশিম খাচ্ছে রোগীর চাপ সামাল দিতে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩২৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: রাজধানীতে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সাধারণ শয্যা রয়েছে মাত্র আড়াই হাজার। আইসিইউ বেড আছে মাত্র ১২৮টি। এসব দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সম্প্রসারণ করে মহামারী নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল সরকার। পরে রোগী কমে আসায় সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে কয়েকটি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয় দেশে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দৈনিক শনাক্তের হার নেমে আসে তিন শতাংশের নিচে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে সংক্রমণ আবার বাড়ছে দ্রুত গতিতে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য আইসিইউ বেড রয়েছে মাত্র ২০টি। আইসিইউ সেবা পাওয়ার আশায় বড় হাসপাতাল ভেবে অনেকেই এখানে ছুটে আসেন; কিন্তু খালি পাওয়া যায় না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, বিশাল চাপ এখন করোনা রোগীদের। কোনো বেড আমাদের ফাঁকা নেই। জেনারেল যারা মেডিসিনের কেইস নিয়ে আসছেন, তাদের নিতে পারছি না আমরা। আমাদের কোভিড সার্জারি ও গাইনির কিছু বেড ফাঁকা আছে। কোভিড মেডিসিনের কোনো বেড খালি নেই। ক্ষমতার চেয়েও বেশি রোগী নিয়ে আছি আমরা।

তিনি আরও বলেন, বয়স্করা হয়ত বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিল। কিন্তু অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তারাও ক্রিটিক্যাল রোগী হিসেবে আসছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে, আমরা যদি লাগাম টেনে ধরতে না পারি, এটা কিন্তু দুই-তিন সপ্তাহ পরে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষের দুর্দশাও বাড়বে। একটা কঠিন সময় আসছে আমাদের জন্য।

পরিচালক বলেন, আমরা ঢাকা মেডিকেলের ফ্লোরে আনাচে-কানাচে রোগী রাখতে পারি, এমন একটা বিষয় মনে করে সবাই। কিন্তু আসলে কোভিডে সেটা সম্ভব না, কেননা কোভিডে অক্সিজেন লাগে। সবার অক্সিজেন লাইন লাগে। যে কয়টা অক্সিজেন লাইন আছে, সবগুলোতেই আমরা রোগীদের সেবা দিচ্ছি। কোনোটাই কিন্তু খালি নেই।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পরই মুগদা জেনারেল হাসপাতালকে পুরোপুরি কোভিড হাসপাতাল করা হয়। ৩১০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে মাস দেড়েক আগেও সিট খালি পাওয়া যেত। এক মাস ধরেই বাড়ছিল রোগীর চাপ। এখন এ হাসপাতালে সিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ। সুস্থ হয়ে কোনো একজন হাসপাতাল ছাড়েন কিনা এ অপেক্ষায় থাকেন নতুন রোগীর স্বজনরা। গত ১০ দিনে এ হাসপাতালের ১৯টি আইসিইউ বেডের একটিও ফাঁকা হয়নি।

মুগদা হাসপাতালের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এটা পরিস্কার। আমরা ১৪টি আইসিইউ চালু রেখেছি আড় ৫টি যোগ করে এখন ১৯ টি আছে। এর পরও কমতি আছে। এর মধ্যেই আমরা প্রস্তুত আছি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য।

শুধু মুগদা হাসপাতাল কিংবা ঢাকা মেডিক্যাল নয়, রাজধানীর অন্য সরকারি হাসপাতালগুলোর চিত্রও একই রকম।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক খলিলুর রহমান সে কথা বলেন, ‘রোগীর খুবই চাপ, আমরা ঠাঁই দিতে পারছি না এমন একটা অবস্থা। বেডগুলো আজকে মোটামুটি পূর্ণ। দুই-একদিনের মধ্যে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু হবে আমাদের এখানে। এখন সাধারণ বেড আছে ১৫০টা। আরও ৫০টা বেড আমরা চালু করব।’

নতুন রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অক্সিজেনের রোগী ছাড়া আমরা ভর্তি নিচ্ছি না।’

রাজধানীর ১০টি সরকারি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। এসব হাসপাতালে মোট বেড রয়েছে ২ হাজার ৫৫৫টি। আর ১০টির মধ্যে আইসিইউ বেড রয়েছে আটটিতে যার মোট সংখ্যা ১২৮টি। যেগুলোর কোনেটিই খালি নেই।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..