1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে নিছা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১
  • ৫৯৯ বার পঠিত

প্রনীতরঞ্জন দেবনাথ : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে রাজিয়া ইসলাম নিছা। রোববার (২১ নভেম্বর) ভোরে রাজিয়া ইসলাম নিছার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। একই দিনে আবার সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসে সে।
জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এসএসসি পরীক্ষা রাজিয়া ইসলাম নিছার বাবা পতনঊষার গ্রামের মিজানুর রহমান বাবু (৪৫) মারা গেছেন। শোকে বিহŸল স্বজনেরা নিচ্ছেন লাশ দাফনের প্রস্তুতি। এমন অবস্থায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে রাজিয়া ইসলাম নিছা নামের এক শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো। রোববার সকাল ১০টার আগে চোখ মুছতে মুছতে ওই কেন্দ্রে যায় সে। সহপাঠী ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সহযোগিতায় দ্বিতীয় দিনের ভোগল পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফিরে বাবার লাশ দাফনে অংশ নেয় সে। রাজিয়া ইসলাম নিছা কমলগঞ্জ উপজেলার উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রী।
স্বজনরা জানান, রোববার নিছার দ্বিতীয় দিনের এসএসসি পরীক্ষা ছিল। এরমধ্যে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভোরে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর বাবা হারা নিছা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লেও স্বজন ও শিক্ষকদের উৎসাহে সে রোববার সকালে উপজেলার মুন্সীবাজার কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে পরীক্ষা দিচ্ছে।
পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমেদ জানান, পরীক্ষার্থী নিছার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি আমরা শুনে সকালে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে শান্তনা ও উৎসাহ দিয়েছি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষা সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল জানান, নিছা সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষা দিচ্ছে। আমরা তার সার্বক্ষনিক খেয়াল রাখছি।
পরীক্ষা শেষে রাজিয়া ইসলাম নিছা জানায়, ‘বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। বাবা চাইতেন আমি যেন পড়ালেখা করে অনেক বড় হই। তাই এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। বাবার আত্মাকে আমি কষ্ট দিতে চাই না।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ‘বাবাকে হারানো যে কারও জন্য খুবই কষ্টদায়ক। তারপরও এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজিয়া ইসলাম নিছা বাবা হারানোর কষ্ট নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আমরাও তার পরীক্ষার সময় যতটা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..