শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন শত শত মানুষ। আক্রান্তদের অনেকেই শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তারা ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। এর ফলে হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সিলেটের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ!
এদিকে, সিলেটে এখন ঘরের করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করাতে মানুষের আগ্রহ কম। ফলে সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মাসের ১ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭ জন। এই ৭ জনই ছিলেন সিলেট জেলার। বিভাগের বাকি তিন জেলার কোন হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন না।
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শনিবার অবধি সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে! যার মধ্যে শুধু সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯৫ জন। বাকিদের মধ্যে মৌলভীবাজারে ১০ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন ও হবিগঞ্জে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নমুনা পরীক্ষায় ১ জানুয়ারি যেখানে আক্রান্ত সনাক্তের হার ছিল মাত্র ১.৩১ শতাংশ, তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এই হার ছিল ২৩.৯৮ শতাংশ!
সংশ্লিষ্টরা জানান, গেল ডিসেম্বর অবধি সিলেট বিভাগে করোনার প্রকোপ ছিল একেবারেই কম। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। একইসাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ, যারা করোনার নানা উপসর্গে ভুগছেন, তারা নমুনা পরীক্ষা করালে সিলেটে করোনার সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন প্রবণতা নেই। মাস্ক ছাড়াই মানুষ অবাধে ঘুরাফেরা করছে। তাই করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, যেভাবে করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে কোনভাবেই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।