স্টাফ রিপোর্টার :: সীমান্তবর্তী মৌলভীবাজার জেলায় এখন প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সংখ্যা। তবে চলমান এমন পরিস্থিতিতেও জেলা জুড়ে দৃশ্যমান হচ্ছেনা করোনাকালীন সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি।
স্থানীয় পর্যায়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আগের মত নেওয়া হচ্ছেনা কঠোর কোনো প্রদক্ষেপ। গেল এক সপ্তাহের পরিসংখ্যনে দেখা যায় প্রতিদিনই সনাক্তের হাড় বাড়ছে। ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর সর্দি ও কাশি রয়েছে। রয়েছে গলাব্যথা, মাথাব্যথা। এ ধরনের রোগীদের করোনা টেস্ট করালেই পজিটিভ আসছে। কিন্তু অনীহার কারণে অধিকাংশ মানুষ টেস্ট করাতে যাচ্ছেন না। উপসর্গ থাকলেও শনাক্ত না হওয়ায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২২ জানুয়ারি ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ওই দিনের নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ। এর আগের দিন ২১ জানুয়ারি ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৯.২ শতাংশ। ২০ জানুয়ারি ২০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৮.৪ শতাংশ। ১৯ জানুয়ারি ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৩৬.৪ শতাংশ। ১৮ জানুয়ারি ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২৯.৯ শতাংশ। ১৭ জানুয়ারি ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ২৫.২ শতাংশ। ১৭ জানুয়ারি ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১১.৪ শতাংশ। ওই এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত কেউ মৃত্যুবরণ করেননি।
সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুরর্শেদ জানান, ২২ জানুয়ারী শনিবার মৌলভীবাজারের ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ।
নতুন শনাক্তরা হলেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নমুনা প্রদানকারী ৩৬ জন, শ্রীমঙ্গলে ৬ জন, জুড়ীতে ৫ জন, কমলগঞ্জে ৩ জন এবং রাজনগরে ২ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৫৫১ জনে।

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৫১ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৬ জন। সরকারি হিসেবে মারা গেছেন ৭২ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ জন। হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ২১ জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮৮৫ জন।
তবে জেলা জুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও স্বাস্থ্য বিধি মানার নেই কোন লক্ষণ। জেলা ও উপজেলার জনসমাগম স্থানগুলো থেকে স্বাস্থ্যবিধি উধাও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবিষয়ে অনেকটাই উদাসীন এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।