শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক গোপনে ১৩টি বিয়ে করেছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
এ নিয়ে রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন এই লেখিকা। তার সেই পোস্টটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“মামুনুল হকের যত ফোনালাপ ফাঁস হচ্ছে, তত তিনি দাবি করছেন তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এক দুই তিনটি হলো বিয়ে। একটি বৈধ বিয়ে, বাকি দুটো অবৈধ বা শরিয়তি বিয়ে। ফোনালাপ যদি আরও দুটো ফাঁস হয়, তবে তো তিনি চতুর্থ এবং পঞ্চম বিয়েরও দাবি করবেন। চারটে বিয়ের বেশি তো ইসলামি আইনে করা যায় না। রকম সকম দেখে আমার তো সন্দেহ হচ্ছে মামুনুল হক গোপনে ১৩টি বিয়ে করেছেন। কে জানে, নিজেকে হয়তো তিনি নবী মনে করেন।”
এদিকে মো. শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি নিজের বোনকে মামুনুল হকের স্ত্রী দাবি করে রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপি নিখোঁজ রয়েছেন মর্মে এ জিডি করা হয়েছে।
এর আগে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার গত ৪-৫ দিন ধরে কোনও খোঁজ না পাওয়ায় মায়ের সন্ধান চেয়ে শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ঝর্ণার বড় ছেলে।
জিডিতে ঝর্ণার ছেলে উল্লেখ করেছে, গত ৪-৫ দিন ধরে সে ও তার পরিবারের কেউ মায়ের (ঝর্ণা) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ঝর্ণার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ। সর্বশেষ যখন মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল তখন তার মা তার অবস্থান বলেনি।
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর (ঝর্ণা) সঙ্গে অবস্থানকালে অবরুদ্ধ হন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। ওইদিন তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে শরিয়া আইন মোতাবেক ওই নারীকে তিনি বিয়ে করেন। যদিও পরবর্তীতে ফাঁস হওয়া কয়েকটি ফোনালাপের সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি মামুনুলের প্রথম স্ত্রীর জানা ছিল না।