শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ এনভারমেন্ট নেটওয়ার্ক বেন এর প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেছেন, হবিগঞ্জের অল্প খরচে গ্যাস পাওয়ার আশায় কারখানাগুলো এখানে চলে আসছে এবং তারা তা পাচ্ছেও। যারা পরিবেশ দূষিত করছে তাদের সংখ্যা বেশি নয়, সাধারণ মানুষেরই সংখ্যা বেশি। তাই সাধারণ মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠতার শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। পুরাতন খোয়াই নদীকে বাঁধ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। সেটা একটা অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্ত ছিল। এখন নদীটি দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে দূষিত করে ফেলা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখানেও এটা করা যায় কিনা দেখতে হবে। আর শিল্প দূষণ নিয়ে আপনার যে হৃদয় বিদারক বিবরণ দিলেন, তা থেকে পরিত্রান পেতে হলে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। দূষণের বিরুদ্ধে জনগণকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের আন্দোলনে জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত না হলে ধরে নিতে হবে তারা জনগণের পাশে নেই।
স্থানীয় টাউন হলে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা আয়োজিত ‘হবিগঞ্জে শিল্পদূষণ থেকে নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষার দাবিতে’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বাপা কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ। শুরুতে বিষয়ের উপর ধারণা বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল।
এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বাপা জেলা শাখার সহ-সভাপতি তাহমিনা বেগম গিনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, সাংবাদিক শোয়েব চৌধুরী, হাফিজুর রহমান নিয়ন, চৌধুরী মাসুদ আলী ফরহাদ, সাবেক জনপ্রতিনিধি মোঃ হাবিবুর রহমান, নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি পীযুষ চক্রবর্তী প্রমুখ।
শিল্পদূষণে ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. আব্দুল মতিন, বাহার হোসেন, এমএ ওয়াাহেদ, মো. লুৎফুর রহমান, শামিম আহমেদ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মো. সাদেকুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, মো. দুলাল মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।