রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : আজ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হলেও, সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে। নিবন্ধন করা না থাকলেও কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া কাল শনিবার সারাদেশে একদিনে এক কোটি টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার অধিদফতর জানায়, ওইদিনের ভিড় কিছুটা কমাতে শুক্রবার টিকাদান কেন্দ্র খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, টিকাপ্রত্যাশীদের ভিড়। মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকাদান শুরু সকাল ৯টা থেকে। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
মহাখালী থেকে আসা মো. সিরাজুল ইসলাম মিন্টু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি। তবে এতদিনেও মোবাইলে এসএমএস আসেনি। শুক্রবারও বক্ষব্যাধি হাসপাতালে এসেছেন টিকা নিতে। টিকাদানে নিয়োজিত একজন কর্মীকে কার্ডটি দেখালে তিনি পরীক্ষা করে দেখেন এসএমএস এসেছে।
মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেও সকাল থেকে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।
বাড্ডার নূরেরচালার গৃহিণী মাকসুদা বেগম এসেছেন সকাল সাড়ে ৭টায়। তিনি বলেন, টিকার জন্য নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রামের বাড়িতে ছিল। সে কারণে নিবন্ধনও করতে পারেননি। এখন নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দিচ্ছে এ জন্য আজ চলে আসলাম। ভিড় হতে পারে এ জন্য সকাল সকাল চলে এসেছি।
এদিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া দাবানল ক্লাবে গতকাল বৃহস্পতিবার গণটিকাদান কার্যক্রম চলেছে। সেখানেও শুক্রবার সকাল থেকে টিকাপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারাদেশের সব সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেডিকেল অফিসারদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
২৬শে ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। ওই দিনের ভিড় কিছুটা কমাতে শুক্রবারও টিকাদান কেন্দ্র খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮ কোটি ৬ লাখ মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি।