রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজে রুশ মিসাইলের আঘাতে নিহত বাংলাদেশি নাবিক হাদিসুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকার রুশ দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান মিসাইল হামলার ফলে নিহত হয়েছেন।
আমরা মরহুমের নিকটাত্মীয়দের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। বন্দর থেকে বাংলাদেশি জাহাজের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতে রাশিয়ার পক্ষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রয়েছে৷
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ড ডাটা পর্যবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে বারবার বলেছে, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা পিছু হটার সময় নির্বিচারে গুলি চালায়। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে জিম্মিদের ধরে নিয়ে যায়, তাদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে। এটা সন্ত্রাসীদের কৌশল হিসেবেও সুপরিচিত।
দূতাবাস জানায়, ইউক্রেনের বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে উদ্ভূত মানবিক সমস্যা সমাধানে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধে রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হটলাইন চালু করেছে। হটলাইন নম্বর +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৩৪-৪৬, +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪২-১১ ও +৭ ৪৯৫ ৪৯৮-৪৭-০৯। এছাড়াও ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনারা বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের কারণে বাংলার সমৃদ্ধি নামে বাংলাদেশি জাহাজটি ইউক্রেনে আটকে পড়ে। ওই জাহাজে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান।
হামলায় বাকিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাবিকরা ভিডিও কলে উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার হামলা বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে শিপিং করপোরেশন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে আটকে পড়া নাবিকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ওই জাহাজে এখন ২৮ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা আছে। বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
অলভিয়া থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। চলমান অস্থিরতা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন। তবে ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের জাহাজটি।