রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি’র উদ্দেশ্য কাউকে পিছনে না রেখে এগিয়ে যাওয়া এবং চা জনগোষ্ঠীর নারীদের পিছনে রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব না বলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আয়োজিত একটি কর্মশালায় অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।
জাতিসংঘের এসডিজি যৌথ কর্মসূচির অধীনে ‘সিলেট বিভাগের নারী চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি’ কর্মসূচি এই বিভাগীয় লেসন লার্নিং কর্মশালা আইএলও, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন ওমেন যৌথভাবে আয়োজন করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এসডিজি’র মূল লক্ষ্য কাউকে পিছনে রেখে এগিয়ে না যাওয়া। কোন নারীকেই পিছনে রেখে এগিয়ে যাওয়া যাবে না।‘
তিনি বলেন, ‘চা বাগানগুলি ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতার সাথে শাসন করেছিল। কিন্তু এখন এই বাগানগুলি বাংলাদেশীদের, তাই ব্রিটিশ মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে, কিন্তু আলোচনার মাধ্যমেই সব সমাধান করা যায়।‘
সিলেট বিভাগের ২৫ টি চা বাগানে ২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই কর্মসূচি গত ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩১ মার্চ শেষ হবে।
প্রোগ্রামের সকল অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইএলওর বাংলাদেশ প্রধান তুওমো পাউটিয়াউনেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারি সচিব খন্দকার মো. নাজমুল হুদা শামীম, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সদস্য তাহসিন আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পঙ্কজ কুন্ডা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আইএলও’র আলেক্সিয়াস চিসাম, ইউএনএফপিএ’র ড. অনিমেষ বিশ্বাস ও মশিউর রহমান, ইউ ওমেন’র তপতি সাহা, ইউনিসেফের খন্দকার লুৎফুল খালেদ প্রমূখ।