অনলাইন ডেস্ক: আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্ততার উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রচলিত নিয়মে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের অর্থাৎ ২০২২-২৩ ও চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট পেশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাজেট বক্ততা তৈরির কাজ চলছে। বাজেট বক্ততার তথ্য-উপাত্ত চেয়ে ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকার প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও সচিবের কাছে আধাসরকারি চিঠি দিয়েছেন, যে চিঠিতে মূলত বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে পাঠানোর কথা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে বাজেটে যেসব বিষয় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এ ছাড়াও গত ১৩ বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। চিঠিতে আরও যে বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তা হলো, কোভিডসৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। করোনাকালে সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানাতে হবে। মূলত কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তার একটি চিত্র তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থমন্ত্রীর জন্য যে বাজেট বক্তৃতা তৈরি হবে তাতে মধ্যমেয়াদি সংস্কার কিংবা কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ করতে হবে। অর্থাৎ ২০২২-২৩ থেকে শুরু করে একেবারে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনা জানাতে হবে। এর পাশাপাশি অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে। এমনকি, নির্বাচনি ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এমনকি ইশতেহার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে করণীয় কী তা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হবে।
জানা গেছে, অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদের ভিশন ও মিশনগুলো উল্লেখ করবেন। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেবেন। এদিকে আগামী অর্থবছরের আকার ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় এ বিষয়ে একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সভায় রাজস্ব আদায় প্রাক্কলনের সম্ভাব্য একটি রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজস্ব ব্যয় সম্পর্কে খসড়া প্রাক্কলন করা হয়েছে। এডিপির আকার এখনও চূড়ান্ত না হলেও চলতি মাসের শেষ নাগাদ কিংবা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ সভায় চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব আয়ের সম্ভাব্য পথরেখা তৈরি করতে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে নিয়মিত সভা শুরু করেছে। এরই ভিত্তিতে রাজস্ব আদায়ের একটি রূপরেখা নির্ধারণ করা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব প্রণোদনা ক্ষেত্রে দেশীয় উদীয়মান শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। কর ছাড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে।
এ জাতীয় আরো খবর..