শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখায় জুয়েল আহমদ (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দুপুরে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার রাতে জুড়ী-ফুলতলা সড়কের পাশের জমি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জুয়েল উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির টাকি গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, জুয়েলের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। স্বজনরা বলছেন, জুয়েল দীর্ঘদিন ধরে হার্টের পাশাপাশি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। এছাড়া তিনি নেশাও করতেন। পরিবারের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি রাস্তার পাশের জমিতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, শনিবার রাতে জুড়ী-ফুলতলা সড়কের পাশের জমিতে জুয়েল আহমদকে পড়ে থাকতে দেখে এক অটোরিকশা চালক তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি রোববার দুপুরে মারা যান। রাতে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। জুয়েলের স্বজনরা জানান, জুয়েল প্রায় জরুরী কাজে বিভিন্নস্থানে যেতেন। শনিবার রাতে তিনি হয়তো জরুরী কোনো কাজে জুড়ী গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যান।
বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ঘটনাটি জুড়ী উপজেলায় ঘটেছে। জুড়ী থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে।
জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, জুয়েলের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। শুনেছি তিনি নেশা করতেন। নেশাগ্রস্থ হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়েছিলেন বলে ধারণা হচ্ছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য তার স্বজনরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। অনুমতি পাওয়ায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।