শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিনিধি সভা ছাপিয়ে মৌলভীবাজারে এখন আলোচনার বিষয় জেলা সম্মেলন। জুনের মধ্যে সম্মেলন হবে- কেন্দ্রীয় নেতা হানিফের এমন বক্তব্যের পর সভায় আগত নেতাকর্মীদের উচ্ছসিত দেখা যায়। এরপর কে তী বক্তব্য দিলেন তাও আলোচনায় উঠে আসে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মসুদ আহমদ ও রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনুর বক্তব্য উপস্থিত নেতাদের মাঝে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
সোমবারের প্রতিনিধি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, আগামী মে’র ভেতরে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং জুনের মধ্যে জেলা সম্মেলন করতে হবে। এই বক্তব্যের পরই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন তৈরী হয়। এই গুঞ্জনে জেলার নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রান চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নতুনভাবে পরিবেশ ফিরে পায় প্রতিনিধি সভা।
এদিকে দিন ছাপিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে সম্মেলন নিয়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে কে সভাপতি হবে, কে সাধারণ সম্পাদক হবে এই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া সভাপতি, সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসবে কিনা সেটা নিয়েও ব্যাপক জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কেউ বাদ পড়ছেন কি না তাও কথাবার্তায় উঠে উঠেছে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত থেকেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং শুরু করেছেন মৌলভীবাজার অনেক নেতাই। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুই পদ নিয়েই কথাবার্তা বেশি হচ্ছে। যদ্দুর জানা গেছে, বর্তমান কমিটির প্রায় সবাই জোর লবিং চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে।
তবে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন যদি আগামী মে’র মধ্যে শেষ হয় তবে জুনের মধ্যেই জেলা সম্মেলন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে প্রায় ১৮শ’ জন প্রতিনিধি নিয়ে প্রতিনিধি সভা সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় অনুষ্ঠানটি সর্বমহলে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মৌলভীবাজার সদর আসনের সাংসদ নেছার আহমদ সিলেটভিউকে জানান, সম্মেলন হলে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা বেড়ে যায়। এছাড়া দলে গনতন্ত্রের চর্চাও বেড়ে যায়। আশা করি কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক সঠিক সময়েই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।