বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:১২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার এ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমভি রুপসি-৯ নামের জাহাজটি এম এল আফসার উদ্দিন লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চে থাকা ৫০-৬০ যাত্রী পানিতে ডুবে যান। কয়েকজন সাঁতরিয়ে তীরে উঠলে পরলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মরদেহ আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে বন্দর থানার আল আমিননগর ও সৈয়দপুরের মাঝামাঝি কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য নাসিম ওসমান ব্রিজের কাছে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এরপর উদ্ধার অভিযানে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাচ্ছিল। এতে শতাধিক যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে সাঁতরে তীরে উঠেছেন। তবে অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান যাত্রী ও স্থানীয়রা।
নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা ২টার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো যাওয়ার পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌথানা পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, দুপুর ২টা ৪৪ মিনিটের দিকে আমরা খবর পাই শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। খবর পাওয়ার পর আমাদের নৌপুলিশের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গেছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটও উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।
জরুরি যোগাযোগে হটলাইন নম্বর
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় জরুরি যোগাযোগ রক্ষার্থে বিআইডব্লিউটিএ প্রধান কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজনে হটলাইন নং -১৬১১৩, টেলিফোন +৮৮২২২৩৩৫২৩০৬ ও মোবাইল নং +৮৮০১৯৫৮৬৫৮২১৩ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।