রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: গত এক বছরে দেশে ১১৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। বেশির ভাগ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে রাস্তায়, নিজের বাসায়, নিকট আত্মীয় ও গৃহকর্তার মাধ্যমে।
আজ রোববার (২৭ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আব্দুস সামাদ হলে ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোক্যাসি ফোরাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কন্যাশিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা দেশে একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কন্যাশিশু ও নারীর সকল সহিংসতাকে সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তাদের উপর নির্যাতন মূলত দুই প্রকার। প্রথমটি সামগ্রিকভাবে সমাজের নিপীড়িতদের একজন হিসেবে। দ্বিতীয়টি কেবল কন্যাশিশু হিসাবে জন্মানোর জন্য। এছাড়া কন্যাশিশু ও নারীদের প্রতিনিয়ত নানা ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হতে হয়। এ ধরণের ঘটনার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লিঙ্গভিত্তিক।
নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, ২০২১ সালে মোট ১১৬ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জন বিশেষ শিশুও রয়েছে। ২০২০ সালে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিল ১০৪ জন কন্যাশিশু। অর্থাৎ ২০২০ এর তুলনায় এ বছরে যৌন হয়রানি ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছে ১০ জন, অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ২০৬ জন, বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮৬৮ জন, যৌতুকের কারণে নির্যাতিত হয়েছে ১৭ জন এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ৯ জন কন্যাশিশু মৃত্যুবরণ করেছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোক্যাসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা কন্যাশিশু নির্যাতন বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছি। নির্যাতন বন্ধে সরকারসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এ লক্ষ্যে আমরা নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করে তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার মাধ্যমে জনসেচতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। একইসঙ্গে সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থাকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছি।