শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
বিকুল চক্রবর্তী :: চা উৎপাদনের সাথে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজকরা টিলা বাবুদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের সকল চা বাগানের টিলা বাবুদের নিয়ে ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের দিনব্যাপী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট থেকে বুধবার সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে জানান, বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট (পিডিইউ) এর উদ্যোগে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দেওড়াছড়া চা বাগানে প্রথমধাপে শ্রীমঙ্গলসহ জেলার প্রায় অর্ধশত চা বাগানের টিলা বাবু (টিলা ক্লার্ক) দের দিয়ে এ ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের ক্লাসে সকল টিলা বাবুদের চা বাগানে টিপিং , প্লাকিং ও পোকা মাকড় দমন বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
উক্ত কর্মশালার মূলবক্তা প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশে ২০২১ সালে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৯৬.৫১ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে চায়ের রপ্তানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি চায়ের উৎপাদন ও গুণগতমান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে জোড় দিয়েছেন। যেহেতু চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি করার
জন্য গুণগতমানের চা উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই, তাই, চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় উন্নত মানের চা উৎপাদনের লক্ষ্যে এ ধরণের কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করার মাধ্যমে চা উৎপাদনের সাথে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা উন্নয়ন করা হচ্ছে। পিডিইউ-এর সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির্জ্জুামান আকন্দ-এর সঞ্চালনায় পরিচালিত উক্ত কর্মশালায়
বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাসুদ রানা এবং কিটতত্ত্ব বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: জাহাঙ্গীর আলম। উক্ত কর্মশালা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন দেওরাছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোস্তফা জামান। দেওরাছড়া, প্রেমনগর, হামিদিয়া, মাজদিহি, ভাড়াউড়া, জেরিন, ফুলাবাড়ী, নূরজাহান, মির্জাপুর, মিরতিঙ্গা ও মৌলভী চা বাগানের মোট ৫০ জন টিলা বাবু কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী টিলা বাবুরা বলেন, এ ধরণের কর্মশালা আরও আয়োজন করা হলে আমরা নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে নিজেদেরকে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত রাখতে পারবেন এবং অর্জিত জ্ঞান মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগের
মাধ্যমে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি গুণগতমানের চা উৎপাদনে অবদান রাখতে তারা সক্ষম হবেন।