1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিরিজে সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩২ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক : ওবেদ ম্যাককয়ের সেরা বোলিংয়ের পর ডেভন টমাসের ঝড়ো ইনিংসে ভারতকে হারাল ক্যারিবীয়রা। এ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরিয়েছে নিকোলাস পুরানের দল।

সোমবার রাতে ‘লাগেজ সমস্যায়’ দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে জিতেছে ক্যারিবীয়রা। এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ছয় ম্যাচে এটাই তাদের প্রথম জয়।

১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের নায়ক পেসার ম্যাককয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে কোনো ম্যাচে ছয় উইকেট নিলেন তিনি। সব মিলিয়ে দশম বোলার হিসেবে গড়লেন এই কীর্তি। একমাত্র শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস দুইবার নিতে পেরেছেন ছয় উইকেট।

সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পুরান। প্রথম বলেই রোহিত শর্মাকে শূন্য রানে সাজঘরের পথ দেখান ম্যাককয়। আরেক ওপেনার সূর্যকুমার যাদবকেও (৬ বলে ১১) ভয়ংকর হতে দেননি বাঁহাতি এই পেসার। ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।

মাঝখানে রিশাভ পান্ত ১২ বলে ২৪ রানের ছোটখাটো ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতের রান চাকা আটকে দেন ক্যারিবীয় বোলাররা। হার্দিক পান্ডিয়া (৩১ বলে ৩১) আর রবীন্দ্র জাদেজা (৩০ বলে ২৭) রান পেলেও হাত খুলে খেলতে পারেননি।

১৯তম ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন ম্যাককয়। আউট করেন দিনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ভুবনেশ্বর কুমারকে। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ভারত অলআউট হয় ১৩৮ রানে।

৪ ওভারে একটি মেইডেনসহ ১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন ম্যাককয়। এটিই এখন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয় কোনো বোলারের সেরা ফিগার। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল কেমো পলের। ২০১৮ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পল।

রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভালো শুরু এনে দেন ব্র্যান্ডন কিং। পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকরা কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলে ৪৬ রানে। এতে আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্সের অবদান সামান্যই। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই মেয়ার্সকে ফেরান পান্ডিয়া।

এরপরই স্বাগতিকদের চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। একটি করে ছক্কা ও চার মেরেই থেমে যান অধিনায়ক পুরান। জাদেজাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে দলকে চাপে ফেলে দেন শিমরন হেটমায়ার।

তবে ৩৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন কিং। চমৎকার এক ইয়র্কারে তার প্রতিরোধ ভাঙেন আভেশ খান। ৫২ বলে দুই ছক্কা ও আট চারে ৬৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান এই ওপেনার।

তার বিদায়ের পর ক্রমেই কঠিন হতে থাকে সমীকরণ। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। পান্ডিয়াকে ছক্কা মেরে কিছুটা সহজ করেন টমাস। পরের ওভারে রভম্যান পাওয়েলকে বোল্ড করে ভারতকে ম্যাচে রাখেন আর্শদিপ সিং।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ১০ রান। ভুবনেশ্বর কুমারের ওভার থাকলেও আভেশের হাতে বল তুলে দেন রোহিত। তরুণ পেসার প্রথম বল করে বসেন ‘নো’। ফ্রি হিটে ছক্কা মেরে সব উত্তেজনায় জল ঢেলে দেন টমাস।

পরের বলে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন টমাস। ১৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন টমাস।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..