1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে দেড় হাজার হেক্টর আমন ধান চাষাবাদ অনিশ্চিত

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২
  • ১৪৪ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :: মৌলভীবাজার: বিদ্যুত ভোগান্তিতে কাশিমপুর পাম্প হাউজ প্রায় বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের প্রায় দেড় হাজার হেক্টর রোপা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে এবার।
হাওর পাড় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত বৃষ্টিপাতের কারণে ও পাহাড়ি এলাকার ছড়া থেকে পানি এসে কাউয়াদীঘি হাওরে গিয়ে জমা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়তে থাকায় ফুলে উঠছে কাউয়াদীঘি। এতে করে হাওর পাড়ের মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কৃষি অংশ তলিয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকদের আবাদী জমি ও ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। এদিকে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোপা আমন চাষাবাদ করতে আর মাত্র ১৫দিন হাতে আছে কৃষকদের।

সরেজমিনে গেলে রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওর সংলগ্ন ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের কৃষক মিছবাহ উজ্জামান বলেন, তার ৬ কিয়ার প্রস্তুতকৃত রোপা আমন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জমির আবাদ করতে তার ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। একই গ্রামের কৃষক ও দলিল লেখক মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, তিনি ১৬ কিয়ার জমি আবাদ করেছেন। জমিতে খরচ হয়েছে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকা। পানি বৃদ্ধিতে তাদের মন একেবারে ভেঙ্গে গেছে। একই গ্রামের কৃষক মোঃ আছকির মিয়া বলেন, তিনি ৬০ কিয়ার জমি আবাদ করেছেন। পানি বৃদ্ধি পাবার কারণে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। এই জমি আবাদ করতে তিনি ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর ওই জমি চাষাবাদ করে দেড় লাখ টাকার ধান বিক্রি করেছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর (যান্ত্রিক বিভাগ) নির্বাহি প্রকৌশলী এমএ হান্নান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের সাথে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ কম থাকায় পিডিবি বিভাগ আমাদের দিনের বেলা ২টা মেশিন চালু করার মত বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন। আবার রাত ৯টার পর থেকে পুরো ৮টি মেশিন আমরা চালাতে পারি। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের কাছ থেকে আরো বিদ্যুৎ আনার চেষ্টা করছি।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন সোমবার বিকেল ৩টায় জানান, বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি থাকার কারণে এবার কাশিমপুর পাম্প হাউজ দিয়ে পানি নিস্কাশন করা সম্ভব হচ্ছেনা। কি পরিমান জমি তলিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কৃষিবিদ জানান, এবার জমি কতটুকু আবাদ হবে তার পর বলা যাবে। তিনি আরো বলেন, দুই উপজেলা জুড়ে হাওরের কৃষি অংশে দেড় হাজার হেক্টর আবাদী জমি রয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..