শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর একটি হোটেলে সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা হোটেলে ঢোকার আগে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
হামলা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক পর দুর্বৃত্তরা হোটেল হায়াতের উপরের তলায় লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোটেল থেকে ডজনের বেশি অতিথি ও কর্মী উদ্ধার করেছে পুলিশের বিশেষ ইউনিট।
এদিকে, হামলার দায় স্বীকার করা আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠী জানিয়েছে দুটি গাড়িতে বিস্ফোরক আনা হয়। চলে গুলিও। অন্য দিকে সোমালিয়া গোয়েন্দা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হোটেল হায়াতে আক্রমণ হয়। একটি গাড়ি একেবারে গেটের সামনে আঘাত হানে।’’
হোটেলে ঢুকতে পরপর দু’টি গাড়ি বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকরীরা। একটি হোটেলের কাছে গার্ড রেলে। অন্যটি হোটেলের গেটে। তার পরই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে হোটেলে ঢুকে পড়ে তারা।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা হোটেল ঘিরে ফিরলে পর পর গ্রেনেড ছুড়তে থাকে হামলাকরীরা। এতে হোটেলের নানা জায়গায় আগুন ধরে যায়। মোগাদিসুর পুলিশ বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, “হোটেল থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাচ্ছে। হোটেলের মধ্যেই হামলাকরী জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই হামলায় মোট কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।” এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় নিউ ইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জঙ্গিদের লক্ষ্য হিসাবে এই হোটেল বেছে নেওয়ার নেপথ্যে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, হোটেলটিতে প্রায়ই রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করতে আসেন। তাঁদেরই কেউ জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন হাসান শেখ মহামুদ। তিনি দায়িত্বভার নেওয়ার তিন মাসের মধ্যেই প্রথম এত বড় জঙ্গি হামলা হল রাজধানীতে।