1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রাজনগর হাওর কাউয়াদিঘীর সরকারী খালে প্রভাবশালীদের মাছ লোটপাট,সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭২৮ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধিঃরাজনগর উপজেলার হাওর কাউয়াদিঘীর লামা মিটিপুর মৌজার সরকারী খালের মাছ অবৈধ ভাবে লুটে নেওয়ার পায়তারায় লিপ্ত একটি চক্র। পরিবেশের ক্ষতিসহ সরকার হারাচ্ছে প্রায় ২লাখ টাকার রাজস্ব। প্রতি বছরের মতো অবৈধ ভাবে মাছ ধরা চক্রটি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে গেলেও আবারও মাছ ধরার জন্য বাসা তৈরী করছে বলে জানাগেছে। এমনকি থানায় অভিযোগকারী ইউপি সদস্যকে প্রানে মারার জন্য খোঁজার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনগর থানার অভিযোগে জানাযায়, বালিসহস্র গ্রামের সালামত মিয়া(৫৫), আনছার মিয়া(৪৫),আনকার মিয়া(৫২) লামামিটিপুরে শুক্রবার ২ ডিসেম্বর প্রতি বছরের মতো অবৈধ মাছ ধরা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ৮নং মনসুর নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডর সদস্য মাহবুবুর রহমানের জন স্বার্থে আপত্তি করলে তাকে হুমকি প্রদান করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা। পরে তিনি রাজনগর থানায় অভিযোগ করলে রাজনগর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় ২ লাখ টাকার মাছ লোটপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর মাছ ধরার জন্য আবারও প্রস্তুতি নিয়ে ঘর তৈরী করে।

এঘটনায় মৎস্যজীবি সমিতিদের সাথে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। জানাযায়, ২০২০ সালে একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হাওর কাউয়াদীঘি লামা মিটিপুর মৌজার সরকারী খালে অবৈধ্য ভাবে দখল করে মাছ ধরা বন্ধ করার জন্য আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ অক্টোবর ২০ সালে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহকারী অফিসার ভূমিকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। সে প্রেক্ষিতে প্রশাসন অবৈধ দখলদারদেরে উচ্ছেদ করেন। পরবর্তীতে একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে প্রকৃত জেলে কার্ডধারী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নিকট লীজ দেওয়ার আবেদন করে। ইদানিং ২ ডিসেম্বর মনসুর নগর ইউনিয়নের বালিসহস্র গ্রামের সালামত মিয়া(৫৫) আনছার মিয়া(৪৫), আনকার মিয়া(৫২)সহ কিছু লোক নিয়ে জোর পূর্বক খাল দখল করে বিভিন্ন প্রজাতির ধরে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরিবেশের ক্ষতি ও মৎস্যজীবিদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে মনসুর নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবুর রহমান বাঁধা দিলে তাকে উল্লেখিত ব্যক্তিরা হুমকি প্রদান করেন। এব্যাপারে মাহবুবুর রহমান রাজনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করলে রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে মাছ ধারার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। মাহবুবুর রহমান অভিযোগ, পুলিশ অবৈধ ভাবে মাছ ধরা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকেরা তার মৎস্যজীবি সমিতর হাওর কাউয়াদিঘীর একটি বিলের পাহাড়াদার রাসেল আহমদ, কাবুল মিয়া, মুন্না মিয়া, রাজ্জাক মিয়াকে হুমকি দিয়ে যায়। এবং বলে যায় আগামীকাল তারা মাছ ধরবে। এসময় তারা ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমানকে প্রানে মারার জন্য খোঁজ করতে থাকে। অবৈধ্য ভাবে মাছ ধরে নিয়ে গেলে সরকার প্রায় ২ লাখ টাকার রাজস্ব সহ পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতির আশংক্ষা রয়েছে।
এব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি জেনে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..