শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
সামাদ আহমেদ আবির : চায়ের কথা মনে হলেই ভেসে ওঠে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের চিত্র। কারণ সেখানেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি চা বাগান। বর্তমানে সেখানের চা বাগানগুলোতে কচি পাতা উঁকি দিচ্ছে। প্রতিটি টিলা-সমতল প্রান্তরে সবুজের সমারোহ। সেই সতেজ আর স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে দুইটি পাতা একটি কুঁড়ি এখন মাথা তুলেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের মতো কয়েকদিন আগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব চা গাছের মাথা ছাঁটাই (প্রুনিং) করা হয়েছে। এরপর চলে অপেক্ষার পালা। চা শ্রমিক, সর্দার (দলের প্রধান), বাবু (ক্লার্ক) এবং ম্যানেজাররা (ব্যবস্থাপক) গভীর আগ্রহে গাছে কুঁড়ি আসার অপেক্ষায় থাকেন।
তবে কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফেরে তাদের মাঝে। সেই বৃষ্টির ফোঁটায় উর্বর হয় প্রকৃতি। আর সেই উর্বরতার দিগন্ত বিস্তৃত উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে হাসতে থাকে দুইটি পাতা একটি কুঁড়ির দল।
গত কয়েকদিনে জেরিন চা বাগান, ইস্পাহানি চা বাগান, নুরজাহান চা বাগান, বিটিআরআই চা বাগান, মাজদিহি চা বাগান, প্রেমনগর চা বাগানসহ কয়েকটি চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, সব গাছেই কুঁড়ি এসেছে। ঘনসবুজ পাতাগুলো গভীর সৌন্দর্যে রাঙা হয়ে আছে। চা বাগানে এখন সবুজ জেগে উঠেছে। দেখে মনে হয় পুরো বাগানে সবুজ প্রলেপ বিছানো।
এদিকে মৌলভীবাজারের চা শিল্পাঞ্চলে চলতি চা উৎপাদন মৌসুমের প্রথম চা পাতা চয়ন (টিপিং) শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মৌসুম শেষে চা গাছ ছাঁটাই অর্থাৎ গ্রুনিংয়ের পর নিয়মানুযায়ী দুই মাস ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পর নতুন কুঁড়ি গজালে শুরু হয় পাতা চয়ন এবং উৎপাদন।
মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাতকে ‘গোল্ডেন রেইন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে । আগাম বৃষ্টি চায়ের জন্য সুফল বয়ে আনে। ফলে অনেক বাগানে পাতা চয়ন শুরু হয়েছে।