মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক:ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান ও তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ব্যক্তিগত জীবন ফের চর্চায়। সম্প্রতি বুবলীকে ঘিরে শাকিব খান সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎ দেন এবং পাল্টা সেই সাক্ষাৎকারের জবাব দেন বুবলী। আর এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সংবাদমাধ্যম সরগরম।
এবার এই ইস্যুতে নিজের মতামত জানালেন খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। মঙ্গলবার রাতে (৯ মে) নিজবাড়িতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে চলে আসেন চলমান শাকিব-বুবলীর ইস্যু।
প্রসঙ্গক্রমে ডিপজল বলেন, ‘শাকিব যদি আরও বিয়ে করে রাখতে পারে, তাহলে এটা তার ব্যাপার। আর মুসলিম হিসেবে তো চার বিয়ে করা যায়! ইন্ডিয়ান আর্টিস্টরা তো একাধিক বিয়ে করে। অন্য পেশায় যারা আছে, তারাও তো একাধিক বিয়ে করে, তাহলে দোষের কী?’
তিনি বলেন, ‘তার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে বিয়ে করে খরচ দেয়ার। তার ব্যক্তিগত এসব নিয়ে কথা বলা, মাখামাখি, বদনাম বন্ধ করা উচিত, বরং শাকিবকে একটু ভালো পরামর্শ দেয়া উচিত। যাতে তার আরও ভালো কিছু করার থাকে।’
সেই সঙ্গে শাকিবের দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস (সাবেক) ও বুললীর (বর্তমান) উদ্দেশে বলেন, ‘অপু-বুবলীর কাছে রিকোয়েস্ট, তোমরা চুপচাপ থাকো। কোনো কিছু হলেই মিডিয়ার সামনে এসে কান্নাকাটি করে লোকজনকে জানালে তারা আমাদেরই খারাপ জানবে। চুপ থাকো।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিব খান জানান, বুবলীর সঙ্গে তার অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। এরপর ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে বুবলী জানান, তাদের এখনও বিয়ে বিচ্ছেদ হয়।
শাকিবের দীর্ঘ সেই সাক্ষাৎকার ও বুবলীর স্ট্যাটাসে উঠে এসেছে তাদের সম্পর্কের তিক্ততার কথা।
গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করেন বুবলী। ৩০ সেপ্টেম্বর বুবলী-শাকিব খান তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে সন্তানের ছবি ও নাম প্রকাশ করেন। এরপর ৩ অক্টোবর) বুবলী জানান শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ের ও সন্তান জন্মের তারিখ। তখন জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ জুলাই বিয়ে করেন তারা।
প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল অপু বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও। হঠাৎ করে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে শাকিবের সঙ্গে নিজের গোপন বিয়ের ও সন্তানের খবর জানান এ নায়িকা। সেখান থেকেই জনসমক্ষে আসে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে হয় তাদের।
এরপর ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে অপুর কাছে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব। এর তিন মাস পর কার্যকর হয় তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ।