শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলার মূলহোতা গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল (৫০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইমদাদুর রহমান মুকুল (৫০) উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে। জানা যায়-নবীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে বেশ কয়েকদিন ধরে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমেদের নেতৃত্বে এসআই সমীরণ চন্দ্র দাশ সহকারে একদল পুলিশ বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ডালিম আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত (২৬ মে) রাতে ্ওই উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলে অবস্থিত উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিনের ফিশারির পাহাড়াদার আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী মোঃ জারু বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৭ জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় নুর উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত রবিবার সকালে প্রশাসনের সাথে সাতাইহালের নেতৃ স্থানীয়দের বৈঠক চলাকালিন সময় সাতাইহাল গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে লুটপাট,বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ, ভাংচুর করে।এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এঘটনায় গত মঙ্গলবার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের পুত্র জামাল হোসাইন বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার আলোচিত আসামী ছিল এমদাদুর রহমান মুকুল।