বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: আগামী অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৭১ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা। সে হিসেবে এবার দুই মন্ত্রণালয় ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পেল। গত বছরের তুলনায় শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।২০২১-২০২২ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। গত বছর ছিল ৩৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। গত বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এবার ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। গত বছর এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
বাজেট উত্থাপন বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছুটিকালীন সময়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করা হয়। শিক্ষাখাতে আমাদের আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে এ দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ কাজের জন্য আগামী বছরের বাজেটে আমরা প্রয়োজনীয় সম্পদের যোগান রাখছি।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষার বাজেটের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার ও প্রায়োগিক শিক্ষার প্রসারে বহুমুখী উদ্যোগ চলমান রেখেছি আমরা।
যেমন : প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় বিদ্যালয় ও পিটিআই স্থাপনসহ অন্যান্য অবকাঠামাে স্থাপন কার্যক্রম সমূহ বাস্তবায়নাধীন আছে বলে জানান তিনি।