রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
সৈয়দ আব্দুল্লাহর শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে গুলশানে ৩৯০৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট (যার মূল্য মোট ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা) কেনার জন্য চুক্তি করেন। ফ্ল্যাট বুকিং ও প্রাথমিক চুক্তিতে কারিমা খাতুনের নাম থাকলেও ওই ফ্ল্যাটের মূল্য ও আনুষঙ্গিক বাবদ প্রিমিয়ার ব্যাংক গুলশান তেজগাঁও লিংক রোড শাখায় আসামি সৈয়দ আব্দুল্লাহর স্ত্রী ফারহানা আক্তারের হিসাব নম্বর থেকে ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড গুলশান তেজগাঁও লিংক রোড শাখায় ফারহানা আক্তারের স্পার্ক এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির চলতি হিসাব থেকে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নাভানা রিয়েল এস্টেট বরাবর পরিশোধ করা হয়।
আব্দুল্লাহ তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে কাকরাইলে ২১২০ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস ও ২৬৬ বর্গফুটের গাড়ি পার্কিংসহ মোট ২৩৮৬ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস ২ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার টাকায় কেনেন। ফারহানা আক্তারের নামে ঢাকা মহানগরীর রমনায় ২১৫০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট ও কার পার্কিং স্পেস কিনেছেন আব্দুল্লাহ, যার মূল্য ২ কোটি ৭৩ লাখ চার হাজার ২৩২ টাকা।
এছাড়াও ফারহানার নামে খিলগাঁওয়ে পুলিশ প্রজেক্টে ২০০০ বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ও ২০০ বর্গফুটের গ্যারেজ কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক, যার নির্মাণ খরচ বাবদ ৪০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন আব্দুল্লাহ। তিনি নিজ নামে দুটি প্লট, স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বাণিজ্যিক স্পেস ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ১৫ কোটি সাত লাখ ৬৬ হাজার ৪১৫ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জন করেন। দুদক বলছে, সৈয়দ আব্দুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি এনআইডি কার্ড বানান। আব্দুল্লাহ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত হিসাব খোলা এবং ওই হিসাবগুলোতে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার আমানত গচ্ছিত রাখার তথ্য, বিভিন্ন ব্যাংকে দুটি এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে ১ কোটি টাকা মূল্যের সঞ্চয়পত্র ক্রয়, ফারহানা আক্তারের নামে ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ কেনার তথ্য পাওয়া গেছে।