শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সকালে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া সন্তান জান্নাত মোহাম্মদ কে কাশিনাথ আলাউদ্দিন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এ দিতে গিয়ে সন্তানের সামনে থেকে তার বাবা জুনেদ মোহাম্মদ কে মাইক্রোবাস যুগে অপরন করে তুলে নিয়ে খুন করে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীরা। জানা যায় জুনেদ মোহাম্মদ মৌলভীবাজার সাব রেজিস্টার অফিসের একজন দলিল লেখক ও সার্ভেয়ার,এবং তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি। প্রত্যক্ষদর্শী জুনেদ মোহাম্মদের ছেলে জান্নাত মুহাম্মদ বলেন আমাদের নিজ বাসা শাহ মুস্তাফা রোডস্থ মিনা ভিলা থেকে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় আমার বাবা জুনেদ মুহাম্মদ প্রতিদিনের ন্যায় আমাকে আমার স্কুলে এগিয়ে দিতে যান কিন্তু হঠাৎ করে স্কুলের সামনে যাওয়ার পর জেলা আওয়ামীলীগের বড় নেতার হুকুমে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে জোরপূর্ব গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায়, যার একমাত্র সাক্ষী আমি, সাথে সাথে আমি স্কুলে না গিয়ে বাসায় চলে এসে আমার মাকে সবকিছু খুলে বলি,সারাদিন আমরা সবাই মিলে আমার বাবাকে অনেক খোঁজাখোঁজি করে না পেয়ে এক পর্যায়ে মডেল থানাতে যাই জিডি করতে কিন্তু মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আমাদের জিডি গ্রহণ না করে আমাদেরকে বলেন হয়তো কোন জায়গায় কাজে আটকে পড়েছে এমনিতেই চলে আসবে বলে আমাদেরকে বাসায় চলে যেতে বলেন, আমরা অসহায় হয়ে সন্ধ্যার দিকে বাসায় চলে আসি। সন্ত্রাসীরা যখন আমার বাবাকে সন্ধ্যার পর অন্ধকারে আমাদের বাসার সামনে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায় তখন পথচারীর চিৎকারে বাসা থেকে বের হয়ে আমার বাবাকে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিক আমরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই তখন কর্তব্যরত ডাক্তার আমার বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন,সাথে সাথে আমরা মডেল থানায় যাই আমার বাবার হত্যার জন্য মামলা করতে তখন আমি আসামিদের নাম বলতেই মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোবাইল ফোনে আলাপ করে আমাদেরকে বলেন হত্যা মামলা করতে হলে আমাকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে,তখন আমরা আবার সদর হাসপাতালে যাই গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তারকে বলি আমার বাবার ময়না তদন্তের রিপোর্ট করার জন্য প্রথমে ডাক্তার ময়না তদন্তের রিপোর্ট করতে রাজি হলে উনি হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের রুমে ঢুকে উনার সাথে কথা বলে বাইরে এসে আমাদেরকে বলে ওনার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যুতে কোন ময়না তদন্ত রিপোর্ট হয় না,তখন আমরা অনেক কান্নাকাটি করার পরেও সবার পায়ে হাতে ধরেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট করাতে পারেনি অসহায় হয়ে আমরা আমার বাবার লাশ বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় লাশ রেখে আমরা মৌলভীবাজারের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে যাই আমার বাবার হত্যার যাতে সুষ্ঠ বিচার পাই কিন্তু আসামিদের নাম শুনে কেউই আমাদেরকে এই ব্যাপারে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি উল্টো আমাকে অনেক হুমকি ধামকি দিয়ে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে। যার কারণে আমার বাবার হত্যার জন্য মামলা করতে পারিনি বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে উনি বলেন এই ব্যাপারে মডেল থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দাখিল করা হয় নি,কোন অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে । পরবর্তীতে মৃত ব্যক্তি জুনেদ মোহাম্মদের লাশ ১৫ ফেব্র“য়ারী বিকেলে উনার নিজ বাড়ী জগৎপুরে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয় ।