রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার সদরের স্বাস্থ্য সেবার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র বয়সের ভারে নিজেই রোগী হয়ে পড়েছে। ৬০শতকের নির্মিত ভবন,ডাক্তার,নার্স স্বল্পতা,পর্যাপ্ত ঔষধ না থাকা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সংশ্লিষ্টদের কোন নজর না থাকায খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র । বিগত ৬০ শতকে নির্মিত হওয়ার পর আর কোন উল্লেখযোগ্য কাজ হয়নি। জেলার হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডির্পামেন্ট কাজ করার দায়িত্ব থাকলেও জরাজীর্ন ভবন,রাস্তা, কোয়ার্টার কোন কিছুতেই এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। জরাজীর্ন ভবনে চলছে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবার কাজ। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে একজন মাত্র ডাক্তার, ৩ জন ভিজিটর,২জন সহকারী থাকার প্রয়োজন হলেও আছেন মাত্র ১জন। চেতনানাশক ডাক্তারের পোষ্ট থাকলেও সিজার অপারেশনের কাজ চলচ্ছে ভাড়া করা ডাক্তারের মাধ্যমে। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্ররের সুত্র মতে, এখানে এপ্রিল মাসে ১১টি সিজার ও ২৬টি নর্মাল ডেলিভারী, মে মাসে ৩৬টি নর্মাল ও ৫টি সিজার করা হয়েছে। প্রতিবারেই চেতনানাশক ডাক্তার বাহির থেকে ডেকে আনা হয়েছে। অপরদিকে সিজারের রোগীদের বক্তব্য কোন ডাক্তার চেতনা নাশক ঔষধ ব্যবহার করেননি। সহকারী নার্স এই ইনঞ্জেকশন দিয়ে থকেন। ফলে সঠিক মতো ইনঞ্জেকশন দিতে না পারায় পরবর্তীতে রোগীর কোমওে নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এছাড়াও মহিলা ডাক্তার না থাকায় ডেলিভালীর সিজার পূরুষ ডাক্তারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যার কারনে অনেক মহিলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী নয়। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীদের অভিযোগের কথা দৈনিক মৌমাছি কন্ঠকে বলেন। রোগীরা সিজারের সময় প্রয়োজনীয় ঔষধসহ অপারেশনের জিনিষ পত্র নিজেরাই বাহির থেকে কিনতে হয়। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার নার্সেও সমস্যা ছাড়াও রাস্তা,ভবন,নার্সদের থাকার কোয়ার্টার সমস্যা মারাতœক আকার ধারন করেছে। বসবাসের অনুপযোগী বিল্ডিয়ে বসবাস করেন একজন মেড ওয়াইফ ও সহকারী নার্স। পুরাতন হাসপাতাল সড়ক থেকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নীচে থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে ভিতরে হাটু পানি হয়ে যায়। ফলে ডেলীভররি রোগীকে নিয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র প্রবেশ করা সহ মানুষের চলাচলে মারাতœক সমস্যা হয়। মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ায় সুফল পাচেছ না সাধারন মানুষ। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র- জন্ম নিয়ন্ত্রন, প্রজনন, গর্ভবর্তী মায়ের মাতৃত্বকালীন যতœসহ মা ও শিশুর সব ধরনের সেবা দেয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবতা ভিন্ন। সেবার জন্য দাঁড়াতে হয় লম্বা লাইনে,পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় পাওয়া যাচেছনা কাঙ্খিত সেবা। রোগীদের প্রধান অভিযোগ মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে চেতনানাশক ডাক্তার ছাড়াই সিজার কিভাবে করবে। বহিরাগত ডাক্তার কি সময় মতো কি পাওয়া যায়?
এসব বিষয় নিয়ে মা ও শিশু কেন্দ্রের ডাক্তার বিশ্বজিৎ ভৌমিক দৈনিক মৌমাছি কন্ঠ‘র সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ৬০দশকে বিল্ডিংটি নির্মানের পর আর কোন কাজ করা হয়নি। বিগত ২০১৫সালে আমি নিজ উদ্দ্যোগে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র প্রবেশেরে রাস্তাটির কাজ করেছিলাম। হেলথ ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্মেন্ট কাজ করানোর দায়িত্ব থাকলেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বিল্ডিং এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন কিছু জানা যায়নি। চেতনানাশক ডাক্তারের বিষয় বলেন, এই বিষয়ের ডাক্তার নেই। সিজারের সময় ডাক্তার বাহির থেকে নিয়ে আসতে হয়। সহকারী নার্সেও ২টি পদের মধ্যে একজন নার্স ডিউটিতে আছে। একটি পদ শূন্য রয়েছে। সাপ্তাহে প্রতি রবিরার মা ও শিশুর টিকা দেওয়া হয়। আর চেকআপ চলে প্রতিদিন।
এব্যাপারে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ এর সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।