বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নে ধর্ষনের অপবাদে বিয়ে ভেংঙ্গে যাওয়ায় রুপালী রানী দে(২৯) নামে এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কয়েক মাস পূর্বে তার উপর জগন্য ঘটনা ঘটে যাওয়ার বিষয় পাত্র পক্ষ জেনে গিয়ে তাকে নিয়ে উপহাস করে বিয়ে ভেংঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় মানষিক ভাবে ভেংঙ্গে পড়েন রুপালী রানী দে। শনিবার (১০ জুন) টেংরা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে অজিত দের মেয়ে রুপালী রানী দে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে উড়না দিয়ে ফাঁস লেগে আত্মহত্যা করে। রাজনগর থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করেছে। পারিবারিক সুত্রে জানাযায়, রুপালী রানী দে একটি বেসরকারি সংস্থার অধীনে গর্ভবতী মহিলা ও কিশোরীদের গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করতেন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলা থেকে ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে রুপালি রাণী দে ধর্ষণ হয়। রাত আনুমানিক ৩ টার সময় পরিত্যক্ত কুঁড়ে ঘর থেকে স্থানীয় লোকেরা উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। রুপালি রাণী দের পরিবার জানায়, ৬ নং টেংরা ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের হেফাজত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক রমজান মিয়া মেম্বারের আপন ছোট ভাই সুয়েব মিয়া ও তার ৩ সহযোগী রুপালী রানীকে অপহরন করে ধর্ষন করে। পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বিষয়টি বিবেচনায় নেয়নি । গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার রুপালী রানীর বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি করার কথা ছিল। পাত্র পক্ষ আসে তাদের বাড়িতে। প্রতিমধ্যে ধর্ষনের ঘটনার সাথে জড়িত সুয়েব মিয়ার বাড়ি ও রুপালীর বাড়ি এক এলাকায় হওয়ায় পাত্র পক্ষের সাথে ধর্ষকের লোকের দেখা হয়ে যায়। পাত্র পক্ষ বিষয়টি জেনে গিয়ে এব্যাপারে মেয়েকে নিয়ে উপহাস করে বিয়ে ভেংঙ্গে চলে যায়। এ ঘটনায় মানষিক ভাবে ভেংঙ্গে পড়া রুপালী রানী আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়।