1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

রাজনগরে নদীর পানিতে ফসলি জমি প্লাবিত

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১
  • ২১০ বার পঠিত

রাজনগর প্রতিনিধি :: বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লাঘাটা নদীর পানি উপচে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের করাইয়া হাওরসহ প্রায় ১০ টি এলাকার ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে ফসল হারানোর ভয়ে আছেন এসব এলাকার কৃষকরা।

ক্রমাগত পানি বাড়ার কারণে তাদের শঙ্কা আরো বাড়ছে। হাওর রক্ষা বাঁধ না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন কৃষকরা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মনুনদী ও ধলাই নদীর পানি বাড়তে থাকে। এই দুইটি নদীর পানি লাঘাটা নদী হয়ে হাওর রক্ষা বাঁধ না থাকায় বিভিন্ন স্থান দিয়ে করাইয়া হাওরে প্রবেশ করে। এতে ওই ইউনিয়নের করাইয়া, হাটি করাইয়া, দক্ষিন করাইয়া, শ্যামেরকোনা, নোয়াগাঁও, জাঙ্গালী, গোবিন্দপুর, খাসপ্রেমনগর, তেঘরি, ইসলামপুর, জালালপুর সহ প্রায় ১৫টি এলাকার ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করে। উপচে পড়া পানিতে কড়াইয়ার হাওরের রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার প্রায় ৫০০ একর রোপা আমন তলিয়ে গেছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্থানীয় কৃষকরা ফসল হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। ২-৩ দিনের মধ্যে পানি না কমলে ধানে পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

ইসলামপুর গ্রামের আতাউর রহমান সোহেল বলেন, এবছর ২০-২২ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। কিন্তু মনু ও ধলাই নদীর পানি লাঘাটা নদী দিয়ে আসায় জমির ধান তলিয়ে গেছে। ওই নদীতে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা গেলে কৃষকরা ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারতো।

করাইয়া গ্রামের খোরশেদ আলম বলেন, আমার ৩০-৩৫ বিঘা জমির ধানগাছ পানির নিচে আছে। দ্রুত পানি না নামলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। পানি ঘোলা হওয়ায় দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে করাইয়ার হাওরে পানি কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি পানি দ্রুত নেমে গেলে আমার এলাকার কৃষকরা বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।

এব্যপারে রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ ইফ্ফাত আরা ইসলাম বলেন, করাইয়ার হাওরের কিছু জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..