1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ইয়েমেনে সামরিক ক্যাম্পে সৌদির বিমান হামলা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০৪ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র ইয়েমেনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। জানা গেছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সানার একটি সামরিক ক্যাম্পে এবার আক্রমণ চালানো হয়েছে। যদিও হুথি বিদ্রোহীরা বলছেন, হামলাগুলো একটি কারাগার প্রাঙ্গণ ও একটি হাসপাতালে আঘাত হানে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সৌদি জোটের দাবি, এবার আক্রমণ চালিয়ে ওই ক্যাম্পে থাকা হুথি বিদ্রোহীদের সাতটি ড্রোন ও অস্ত্রের গুদাম ধ্বংস করা হয়েছে। উত্তর ইয়েমেন থেকে সৌদির লোহিত সাগর অঞ্চলের জিজানের দিকে সশস্ত্র ড্রোন চালানোর প্রতিক্রিয়ায় বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করে জোট।

হুথি নিয়ন্ত্রিত মাসিরাহ টেলিভিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোররাতে সানার সাবাইন পাড়ায় বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ওই এলাকার বেসামরিক বাড়ি, একটি প্রসূতি-শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে ২১ ডিসেম্বর সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দরে আক্রমণ চালায়। বিমান হামলা চালানোর পর জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আন্তঃ সীমান্ত বিমান হামলা চালানোর কাজে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো। বিমান থেকে গোলাবর্ষণের সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইট অর্থাৎ কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

সৌদি জোটের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার্কি আল-মালকি বলেছিলেন, এবারের বিমান হামলায় মোট ছয়টি লক্ষবস্তু, বিশেষ করে যেসব জায়গা থেকে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হতো, ড্রোন চালানো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন এমন মানুষজনের বাড়িঘর এবং যেসব জায়গায় ড্রোন রাখা হয় সেসব স্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্রোহী বাহিনী দেশটির কেন্দ্রীয় শহর মারিব এবং উপকূলীয় শহর হোদেইদাকে টার্গেট করেছে।

অপর দিকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট রাজধানী সানা এবং অন্যান্য বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান থেকে গোলাবর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ানোর পর গত কয়েক বছরে তারাও বেশ কয়েকবার সীমান্ত এলাকায় হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুথি বিদ্রোহীরা, যদিও সেবার বিপুল সংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েক মাস স্থগিত ছিল তাদের সেই দখল অভিযান। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশ হুথি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

সৌদি জোট বলছে, হুথিদের দখলে যাওয়ার পর থেকে এই প্রদেশে বেসামরিক নাগরিকদের চলাচল এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছেন এবং এ গৃহযুদ্ধ প্রতিযোগী আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে একটি ‘প্রক্সি’ যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

বিতর্কিত সেই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসক গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনো মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অপর দিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।

উল্লেখ্য, ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ‘ছায়াযুদ্ধ’ হিসেবে দেখা হয়। টানা গৃহযুদ্ধ ও সংঘাত চলার ফলে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এবং এক সময়ের সচ্ছল এই রাষ্ট্র।

জাতিসংঘ বলছে, ইয়েমেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ খাদ্য ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের গুরুতর সংকটে ভুগছেন।

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..