1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

হাকালুকি হাওরে বেড়জালে অবাধে মাছ শিকারের মহোৎসব

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৩৪ বার পঠিত

সৈয়দ আশফাক তানভীর :: দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে অবাধে বেড়জাল ও নিষিদ্ধ জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে মাছ শিকারের মহোৎসব। এর কারণে হুমকিতে রয়েছে হাওরের মৎস্য সম্পদ ও জলজ উদ্ভিদ।
দুই যুগ আগেও হাকালুকি হাওরে ১১০ প্রজাতির দেশীয় মাছ ছিলো। যা এখন পঞ্চাশ প্রজাতির নিচে নেমে গেছে। হাওর থেকে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে মরায়েক, গাঙ মাগুর, রিটা, নানিদ, বাঘা আইড়, চিতল, রাণী মাছ, এলংসহ কয়েক প্রজাতি সুস্বাদু মাছ।
এছাড়াও হাওরের মাখনা, পদ্ম, সিঙরা, শাপলা, বনতুলসী, নলখাগড়া, হেলেঞ্চা, বল্লুয়া, চাল্লিয়াসহ শতাধিক প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ ছিলো। এসব উদ্ভিদ এখন বিলুপ্তপ্রায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও হাওরের প্রতিবেশ নিয়ে কার্যক্রম চালানো সংস্থার সূত্রে জানা যায়, বর্ষাকালে প্রতিদিন বেড়জাল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দলবদ্ধভাবে জেলেরা বড় নৌকাযুগে নিয়ে মাছ শিকার করেন।
আগে বেড়জালের দৈর্ঘ্য ১ থেকে দেড়হাজার ফুট ছিলো আর ব্যাস (জালের ছিদ্র) বড় ছিলো । এখন জেলেদের ব্যবহৃত জালের দৈর্ঘ্য ৩ থেকে ৪ হাজার ফুট এবং ব্যাস ছোট। যার কারণে বড় মাছের সাথে পোনামাছও ধরা পড়ে এসব জালে। এসব জালে হাওরের জলজ উদ্ভিদগুলো পরিপূর্ণ হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। হাওর তীরের কুলাউড়ার সাদিপুর, জুড়ী অংশের শাহপুর, বেলাগাঁও গ্রামে তিন হাজার মৎস্যজীবি পরিবারের বসবাস। হাওর থেকে মাছ শিকার করে এসব মৎস্যজীবিরা জীবিকা নির্বাহ করেন। বর্ষাকালে হাওরজুড়ে পানি থাকে ৪ থেকে ৫ মাস। এসময় জেলেরা বড় বেড়জাল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে হাওরের নাগুয়া, ফুটবিল, চকিয়া বিল, চাতলাবিল, কাংলি, গোবকুড়ি বিলসহ অর্ধশতাধিক বিল এলাকায় মাছ শিকার করেন। স্থানীয় মৎসজীবী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, এবার বর্ষায় বন্যা ও দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কারণে হাকালুকি হাওরে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর মাছ এসেছে। প্রতিদিন জালে মণ মণ মাছ ধরা পড়েছে। এসব বেশিরভাগ মাছ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে চলে যায়।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী খোরশেদ আলম বলেন, হাওর প্রতিবেশ সংকটাপন্ন। নানা দূষণে হাওরের জীব বৈচিত্র্য  হুমকিতে। বর্ষাকালে হাকালুকিতে নানা প্রজাতির দেশীয় মাছের প্রজননকালেও অবাধে মাছ শিকার হয়। এতে মা মাছ ও পোনামাছ ধরা পড়ায় মৎস্য সম্পদ হুমকিতে। হাওরের জলজ উদ্ভিদগুলো প্রাণ হারাচ্ছে। হাওরের প্রতিবেশ রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। ইউএসএইডের সহায়তায় সিএনআরএস এর আওতায় হাকালুকির পরিবেশ প্রকল্পের সাইট কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, বর্তমানে কয়েকবছর ধরে জেলেরা যেসব বেড়জাল ব্যবহার করেন এসব জালের ছিদ্র খুব ছোট। এছাড়াও কারেণ্ট জাল, নেট জাল দিয়ে মাছ ধরেন। হাওরে
১৫ বছর আগেও হাওরে ২৫টিরও বেশি অভয়াশ্রম ছিলো। বর্তমানে অভয়াশ্রমের সংখ্যা মাত্র ১১টি। এর মধ্যে মাত্র তিনটিতে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। অবাধে বেড়জাল ব্যবহারে হাওরের জলজ উদ্ভিদ বিনষ্ট হচ্ছে। এতে মাছের খাবার সংকটও দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে হাওরের সুস্বাদু দেশীয় বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবু মাসুদ বলেন, হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২৫ হাজার ফুট নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে এবং ১২ জেলেকে ২২ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হাওরের মৎস্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের তদারকি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..