শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের জন্য অপেক্ষা করতে হলো শেষ ষোলোর শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। আর হ্যাটট্রিক এলো এমন একজনের কাছ থেকে যিনি বিশ্ব ফুটবলের বড় কোনো নাম নন। তবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ গোল করে নিজের নামটা জোরেশোরেই জানান দিলেন গনসালো রামোস।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই বাড়তি চাপ ছিল রামোসের ওপর। কারণ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে বেঞ্চে বসিয়ে রামোসের ওপরই গোলস্কোরিংয়ের দায়িত্ব দেন পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।
আর গুরু এই দায়িত্ব পেয়ে যেন নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন ২১ বছর বয়সী রামোস। দুই বছর আগে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন পর্তুগালের বিখ্যাত ক্লাব বেনফিকার হয়ে। বিশ্বকাপের দুই মাস আগে সেপ্টেম্বরে প্রথমবার দলে ডাক পান। কিন্তু ইউয়েফা নেশনস লিগে স্পেন ও চেক রিপাবলিকের বিপক্ষে ম্যাচে অভিষেকের সুযোগ পাননি।
পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয় বিশ্বকাপের ঠিক আগে। ১৭ নভেম্বর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক হয়।
আর বিশ্বকাপের নকআউট মঞ্চে নেমেই বাজিমাত করলেন। প্রথমার্ধে এক গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করেন এ ফরোয়ার্ড।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ মিনিটে গোছানো এক দলীয় আক্রমণে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান পর্তুগিজ অ্যাটাকার জোয়াও ফেলিশ। তার ক্রসে বক্সে বল রিসিভ করেন রামোস। চমৎকার বডি ডজে মার্কারকে কাটিয়ে শট নিয়ে পরাস্ত করেন সুইজারল্যান্ডের গোলকিপার ইয়ান সমারকে।
বিরতির পর ৫১ মিনিটে দিয়োগো দালোতের ক্রস পেয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রামোস। ১৬ মিনিট পর পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।
এবারও তার বলের জোগানদাতা ছিলেন ফেলিশ। ওই গোলে নিশ্চিত হয়ে যায় সুইজারল্যান্ডের বড় হার।
আর রামোস ২০২২ বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করা ফুটবলার হিসেবে নিজের নাম ওঠান রেকর্ডবইয়ে। গত বিশ্বকাপেও প্রথম হ্যাটট্রিক এসেছিল এক পর্তুগিজের পা থেকে।
স্পেনের বিপক্ষে চার বছর আগে গ্রুপ পর্বে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, রামোস যার বদলে নেমেছেন সেই রোনালডো।