শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট:: বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কয়েক জন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার স্পষ্ট করে কয়েকটি উদহারণ দিয়ে বলেছেন যে, সেনাবাহিনী কত ভালো কাজ করেছে এবং তারা (ডিসিরা) কত খুশি!বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশে নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাপ্রধান।তিনি বলেন, ‘আমি গতবারও ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি। এবারও আসলাম। কোনো প্রতিনিধি পাঠাইনি। আমার সশরীরে ডিসি সম্মেলনে পরপর দুই বছর উপস্থিতি হওয়া এটিই প্রমাণ করে যে, এটিকে (ডিসি সম্মেলন) কতটা গুরুত্ব আমি দিয়েছি!
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রশাসনের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে যারা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন, তারা হলেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনররা আছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করে, যেগুলো কিন্তু বেসামরিক প্রশাসনের আওতায়,‘ যোগ করেন শফিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আর ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা যেসব বেসামরিক কাজ করি, তা বেসামরিক প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া অসম্ভব। আমি তাদেরকে এই সিগন্যালটি পরিষ্কারভাবে দিয়ে গেলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে এসেছি। সেনাবাহিনী চাচ্ছে, বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করে সরকারের যে কোনো প্রদত্ত দায়িত্ব সুন্দরভাবে শেষ করতে।’
সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা ডিজ্যাস্টার ম্যানেজমেন্ট, নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ, অনেক সিকিউরিটি ডিউটিও পালন করে থাকি। এখানে কথা প্রসঙ্গে গত বন্যার সময় সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা সবাই করেছেন। অন্য কাজেও আমাদের প্রশংসার কথা সবাই বলেছেন। আমরাও বলেছি, বর্তমান সেনাবাহিনীর নিচের পর্যায়ের সবার মধ্যে একটি অনুভূতি এসেছে যে, সিভিল প্রশাসন আগের চেয়ে আমাদের সঙ্গে অনেক ফ্রেন্ডলি।’
তিনি জানান, ‘তাদের সঙ্গে কাজ করে আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। এই যে আমাদের একটি কালচারাল ডিফারেন্স (সাংস্কৃতিক পার্থক্য), আর্মি ওয়ে অব ডুয়িং থিংস, সিভিলিয়ানস দে হ্যাভ দেয়ার ওয়েজ অব ডুয়িং থিংস। কিন্তু উদ্দেশ্য একই। কর্মপদ্ধতির ভিন্নতার কারণে অনেক সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে। যত আমরা ওগুলো দূর করতে পারব, কাজে নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে, আমার মনে হয়, উই উইল অ্যাবল টু পারফর্ম ওয়াট ইজ এক্সপেক্টেড ফ্রম আস বাই দ্য গভর্নম্যান্ট অ্যান্ড পিপল অব দ্য কান্ট্রি।’
জেলা প্রশাসকরা কোনো সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে আপনাদের সহযোগিতা চেয়েছেন কিনা – জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, চেয়েছে। তার বিস্তারিত এখন বলছি না। আমি পুরোপুরি নিশ্চিত, এখানকার মুখপাত্র যারা আছেন, তারা এ বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা দেবেন।’
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ফ্রেন্ডলি কোনো কাজ হয় না, এমন কিছু ডিসিরা বলছেন কিনা – জানতে চাইলে তিনি জানান, কয়েকজন ডিসি ও ডিভিশনাল কমিশনার স্পষ্ট করে কয়েকটি উদহারণ দিয়ে বলেছেন যে, সেনাবাহিনী কত ভালো কাজ করছে এবং তারা (ডিসিরা) কত খুশি! আমি বললাম, আপনাদের এ কথাগুলো আমি সেনাবাহিনীর সর্বস্তরে পৌঁছে দেব। এতে তাদের মনোবল বাড়াবে। ভবিষ্যতে ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
‘সেই আঙ্গিকে আমি তাদের এটিও বলেছি, তাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও মনে করে বর্তমান প্রশাসনে যারা আছেন, তারাও অনেক কো-অপারেটিভ এবং তারা আমাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে কাজ করছে। আমাদের তরফ থেকে এই বার্তা বর্তমান বেসামরিক প্রশাসনের কাছে আছে। এটি তাদের মনোবল যোগাবে এবং একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে,’ বলেন সেনাপ্রধান।