1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

গাজা ধ্বংস:- ঝরছে রক্ত, মরছে মানুষ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৩৮ বার পঠিত

: আফতাব চৌধুরী:

জোর করে প্রতিষ্ঠিত ইহুদি রাষ্ট্র ইজরাইল। এ ইজরাইলী সৈন্যরা অতি পরিকল্পিত ভাবে জাতিসংঘ তথা বিশ্ববাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশু, কিশোর, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা করে চলেছে যুগের পরে যুগ ধরে। মাত্র ক’দিন আগে ৭অক্টোবর ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের হামাস নামের সংগঠন ইসরাইলী নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, বেপরোয়া উচ্ছেদ, এবং বাড়িঘর ভেঙ্গে ভূমি দখলের প্রতিবাদে হঠাৎ করে ইসরাইলে রকেট ছুড়তে শুরু করে। এরপরই ইসরাইলী সৈন্যরা নানাভাবে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে চলেছে । এতে ইতিমধ্যেই হাজারো নিরীহ ফিলিস্তিনি খুন হয়েছে এবং বেশ ক’হাজার আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এখনো নির্যাতন এবং হত্যা চলছে অবরোধ করা হয়েছে গাজাকে। এর শেষ কোথায়? ফিলিস্তিনিরা কি এভাবেই বছরের পর বছর,যুগের পর যুগ মার খেতেই থাকবে, তাদের রক্ত কি এভাবেই ঝরবে? বিশ্ববাসী কি এসব শুধু দেখতেই থাকবে? বিশ্বের নিরীহ জনগনের মতে আন্তর্জাতিক সমাজের উপর এ দায়িত্ব বর্তায় যে, শিগগিরই ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের শেষ কথা অনুধাবন করে ইজরায়েল-ফিলিস্তিন দ্ব›দ্ব নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগীতায় বিশ্বের এখানে-ওখানে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃটেন এর সহযোগী ধর্মীয় মৌলবাদী রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম হয়। বিশ্বের রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা এক পর্যায়ে ইজরায়েলি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়। ২০১২ সালে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়ে ইজরায়েলের ভূমি স¤প্রসারণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়। এভাবে ফিলিস্তিনিদের রামাল্লায় পশ্চিম তীর ও গাজার সরু ভূখন্ডে সীমাবদ্ধ করে এখন ইজরায়েল ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট ভূখন্ড থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে চায়।
একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় এ দশকে ফিলিস্তিন-ইজরায়েলের মধ্যকার শান্তি প্রক্রিয়ার প্রকৃতি ও সম্ভাবনা অনুধাবনের জন্য ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের অগ্রাধিকারসমূহ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। ফিলিস্তিনিদের জন্য এখন মূল বিবেচ্য বিষয়গুলো হল, ইজরায়েলের ক্রমবর্ধমান গৃহনির্মান ও আবাস স¤প্রসারণ প্রক্রিয়ার সংকোচন ও বিয়োজন, ইজরায়েল কর্তৃক আটককৃত ফিলিস্তিনিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি জনগণের একতা ও সংহতির প্রতি ইজরায়েলের সম্মান প্রদর্শন, জাতিসংঘের নিষ্কন্টক সদস্যপদ লাভ ও স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিনের প্রতি ইজরায়েলের ইতিবাচক মনোভাব আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহে ফিলিস্তিনের অংশগ্রহণের প্রতি ইজরায়েলের সমর্থন এবং সর্বোপরি পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের নবতর যাত্রায় ইজরায়েলের ইতিবাচক সাড়া। একটু সূ²ভাবে দেখলে বুঝতে কোনো অসুবিধা হবে না যে, ফিলিস্তিনিরা অনেক ছাড় দিয়ে কেবল বেঁচে থাকার তাগিদে দুই রাষ্ট্র প্রস্তাবনা মেনে নিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হয়েছে। অপরদিকে, ইজরায়েলের বর্তমান অগ্রাধিকারসমূহ বেশ ভয়ংকর এবং আঞ্চলিক শান্তিও স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ। ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয় হল ফিলিস্তিনি সমাজব্যবস্থায় বিভাজন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা। একটি ভঙ্গুর সমাজব্যবস্থা কোনোরকম টিকিয়ে রেখে সেই সমাজের উপর আধিপত্য ও দাসত্ব কায়েমের হীন স্বার্থাদ্ধ নীতি জীবিত রাখার কৌশলের মধ্যেই ইজরায়েলের এ অগ্রাধিকার দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। সে কারণে স¤প্রতি ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে সদ্য সম্পাদিত ‘একতার সরকার’ চুক্তির প্রতি ইজরায়েল নগ্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ঐক্যচুক্তি সম্পাদনের পর ইজরায়েল এতই অস্থির হয়ে উঠে যে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক মধ্যস্থতাকৃত শান্তি আলোচনা স¤প্রতি ইজরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং ফিলিস্তিন-ইজরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের দিন হিসেবে ধার্য করলেও শেষ পর্যন্তই ইজরায়েলের প্রত্যাখানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত শান্তি উদ্যোগ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অনেক বিশ্লেষক এমন দাবি করেছেন যে, ইজরায়েলের সা¤প্রতিক হামলার মূল কারণ হল ফিলিস্তিনের ঐক্য সরকার গঠন এবং সে কারণে ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করতে ইজরায়েল নানা কাহিনী রচনা করে চলেছে। ইজরায়েলের দ্বিতীয় অগ্রাধিকার হল ফিলিস্তিন-ভূখন্ডে বিরতীহীনভাবে ইজরায়েলিদের জন্য বসত-বাড়ি নির্মাণ করা। পশ্চিম তীর ও গাজার ক্ষুদ্র ভূখন্ডে ফিলিস্তিনিদের কোণঠাসা করেও যেন ইজরায়েলের গৃহ নির্মাণ পরিকল্পনা শেষ হচ্ছে না। গৃহ নির্মাণের জন্য ইজরায়েলের রয়েছে বিশেষ মন্ত্রণালয় যা বিরামহীন গৃহনির্মাণ প্রক্রিয়া। এই মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করলে মনে হতে পারে, দু’টি রাষ্ট্র সমাধান অত্যন্ত কৌশলে পাস কাটিয়ে ইজরায়েল ফিলিস্তিনিদের সমূলে উচ্ছেদ করে ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে নিধন করতে চায়। অথবা ইজরায়েলের প্রতিষ্ঠিত ঘর-বাড়ি ফিলিস্তিনের সর্বত্র স¤প্রসারিত করে ফিলিস্তিনিদের একটি ইজরায়েলি রাষ্ট্রে নিছক সংখ্যালঘু হিসেবে নির্যাতিত নিষ্পেষিত অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখতে চায়। অর্থাৎ ‘একরাষ্ট্র সমাধান’ হয়ত ইজরায়েলের স্বীকৃত বিকল্প। বারবার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে ইজরায়েলী সৈন্যরা টার্গেট এলাকার ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা বলছে। এতে প্রমাণিত হয় ইজরায়েল ফিলিস্তিনের ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করতে চায়। ইজরায়েলের তৃতীয় অগ্রাধিকার হল, ইজরায়েল রাষ্ট্রটির রাজনৈতিক মতাদর্শ হিসেবে ইহুদিবাদকে স্বীকার করতে ফিলিস্তিনকে বাধ্য করা। এতদিন ইজরায়েলকে একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করার জন্য ইজরায়েল ফিলিস্তিনের উপর অব্যাহত চাপ বজায় রেখেছে। তবে স¤প্রতি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইনডিপেনডেন্স হলে বক্তৃতা প্রদানকালে ইজরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত করার ঘোষণা করেন। দেশটির নীতি-বিচারকরাও সিনেটে নেতানিয়াহুর এ ঘোষণা প্রস্তাবাকারে গ্রহণ করে সেই প্রস্তাব পাস করে ইজরায়েল রাষ্ট্রটির সাংবিধানিক ভিত্তি তৈরির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্মরণ করা যেতে পারে, ইজরায়েলের কোনো সংবিধান নেই। একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলে ইহুদি ধর্মীয় মৌলবাদের ভিত্তিতে ইজরায়েল তার রাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করতে পারবে। ইজরায়েলের আরেকটি নীতি হল, ফিলিস্তিনিদের সর্বাবস্থায় নির্যাতিত অবস্থায় রাখা। ১৯৪৮ সালে ইনডিপেনডেন্স হলের সমাবেশ থেকে ইজরায়েলকে সৃষ্টি করা হয় এবং ২০১৪ সালের মে মাসে সেই একই হলে ইহুদিবাদের উপর ভিত্তি করে ওই রাষ্ট্রটির সাংবিধানিক গ্যারান্টির বৈধতা অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। এ সকল তৎপরতায় জোর করে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি আদায় করা ইজরায়েলের মৌলিক অগ্রাধিকারের অন্যতম। ২০১২ সাল এবং বর্তমান সময়ের হামলা ইজরায়েলের সেই বর্বর নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবর্তিত শানিত উদ্যোগ ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে পাস কাটাতে চাইছে। নেতানিয়াহু হামাস-ফাতাহর মধ্যে সম্পাদিত ঐক্য চুক্তির প্রতি বিষোদ্গার করে বলেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি হামাসের সাথে চুক্তি চান নাকি ইজরায়েলের সাথে শান্তিচান। তাঁর জবাবে মাহমুদ আব্বাস দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, ইজরায়েল স্বীকৃত পিএলওর অধীনেই হামাসের সাথে ঐক্যচুক্তি করা হয়েছে। এ চুক্তির ফলে ইজরায়েল ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা বন্ধ হওয়াকে তিনি অযৌক্তিক মনে করেন। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির এক বক্তব্যে উদ্ধৃত হয় যে, তিনি শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যানের কারণে ইজরায়েলকে জাতি বিদ্বেষী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বনিন্দা-ধিক্কারের সম্মুখীন হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন। মূলত হামাস-ফাতাহর ঐক্যচুক্তি ফিলিস্তিনের জনগণের দুই অংশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে ইজরায়েলের নাক গলানো অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। উপরন্তু ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনই ইজরায়েল-ফিলিস্তিনের শান্তিচুক্তির স্থায়িত্বের জন্য অনিবার্য। ইজরায়েলের মনে রাখা দরকার উপর্যুপরি অত্যাচার-নির্যাতন ফিলিস্তিনিদের ঐক্যের সূত্রে প্রোথিত করেছে যা এ মুহূর্তে ভাঙার নয়। সম্ভবত এ জাতীয় ঐক্যের কারণে মাহমুদ আব্বাসের কন্ঠও আগের তুলনায় বেশি দৃঢ় হয়েছে। তিনি জোর দাবি জানিয়েছেন, ৩০ জন বন্দি ফিলিস্তিনির নিঃশর্ত আশু মুক্তির। অধিকন্ত তিনি ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের সীমানার স্পষ্ট ম্যাপ চান। টেবিলে তিনি ফিলিস্তিনের মানচিত্র উপস্থাপন করবেন বলে উদাত্ত কন্ঠে ঘোষণা করেছেন। একই সাথে সকল ইহুদি বসতি স্থাপন বন্ধের জোর দাবি করেছেন। এসব শর্ত অনতিবিলম্বে মেনে নিয়ে ইজরায়েলকে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার আহŸান জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনিরা ১৫ টি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ফিলিস্তিনের সাহসী অস্তিত্ব ও সুদৃঢ় যাত্রার সূচনা করেছে। স¤প্রতি গাজায় হামলা করে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরে যেতে বললে মাহমুদ আব্বাস ঘোষণা করেছেন ফিলিস্তিনিরা একচিলতে ভূমিও ছেড়ে যাবে না। সা¤প্রতিক বিমান হামলায় শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারালেও তাঁরা ভূমিতে থেকেই ইজরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন। এমতাবস্থায় ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের প্রতি ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি অর্জিত হবে এ মর্মে ইজরায়েল এখন উপনীত হতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরাও চাইছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে। ফিলিস্তিনিরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধান অনেকটা মেনে নিতে তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু ইজরায়েল যদি একরাষ্ট্র সমাধানের অশুভ স্বপ্নে বিভোর হয় তাহলে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হয়তো আগামী দুই যুগেও সম্ভব হবে না। এত বছর পর হামাস-ফাতাহর ঐক্য যখন গঠিত হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের আর দুর্বল ভাবা ইজরায়েলের জন্য চরম বোকামি। কেবল ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিনই ইজরায়েলের স্থিতিশীলতার জন্য সুবিধাজনক। এ সত্যটি ইজরায়েল বিস্মৃত হলে তারা এক সময় বেশ বেকায়দায় পড়বে। ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনার পুঃপ্রতিষ্ঠা তখনি সম্ভব যখন উভয়েই তাদের চাওয়া এবং পাওয়ার অগ্রাধিকারগুলোর যৌক্তিক অর্জন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে। অসন্তুষ্ট ইজরায়েল কিংবা শত্রæ ভাবাপন্ন ফিলিস্তিন কখনো অঞ্চলিক শান্তিও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে সক্ষম হবে না। হামাসকে অনর্থক রকেট হামলা করে ইজরায়েলকে ক্ষিপ্ত করে তোলার পথ থেকে বিরত থাকতে হবে। আবার রকেটের পরিবর্তে বিমান হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করার নীতি থেকেও ইজরায়েলকে বিরত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক সমাজের মোড়ল রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকায় কেবল ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তিও সমঝোতার পথ খুলে দিতে পারে, অন্যথায় এ সংঘাত হয়ত তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা করতে পারে,ইতিমধ্যেই সে লক্ষণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাংবাদিক-কলামিস্ট।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..