1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারের পর্যটন শিল্পে কাগুজে পরিকল্পনা: পর্যটকে হাহাকার

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১১৮৪ বার পঠিত

সৈয়দ মহসীন পারভেজ: পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় মৌলভীবাজার। এ জেলার একদিকে ধু ধু প্রান্তর জুড়ে নয়ানাভিরাম চা বাগান। আঁকা বাঁকা পাহাড় টিলায় সবুজ বৃক্ষরাজী। উপরে নীল আকাশ। পাহাড়ের চূড়া থেকে নিসৃত ঝর্ণাধারা, নদ-নদী, খাল-বিল আর দিগন্ত বিস্তৃত হাইল হাওরের নীল জলরাশি। চা বাগানের ছোট-বড় হ্রদ, খনিজ গ্যাসকুপ, লেবু, আনারস, পান আর আগর বাগান। জেলায় নয়টি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ক্ষুদ্র-নৃতাত্তি¡ক জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনধারা। তাদের রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি, উৎসব। কানাডিয়ান ফ্রিল্যান্স লেখক এন্টনি ও ডেন্টাল এখানকার প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে মৌলভীবাজারকে ‘এক খÐ স্বর্গ’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

একসময় প্রকৃতির এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য দেখতে এখানে পর্যটকের ভীর গেলে থাকতো। কিন্তুু এখন আর সেই চিত্র নেই। বর্তমানে চলছে পর্যটকের হাহাকার। দিনে কিছু পর্যটক আসলেও রাতে থাকছেন না। এতে ক্ষতির মুখে পরেছেন এই খ্যাতে বিনোয়োগকারীরা। গত পাঁচ বছরে পর্যটক নির্ভর শ্রীমঙ্গল উপজেলায় হিলভীউ গেস্ট হাউস, তানভীর গেস্ট হাউস, বøু-বেল গেস্ট হাউস, হামিদা গেস্ট হাউস, মুন ড্রিম রেস্ট হাউস, শ্রীমঙ্গল রেস্ট হাউস ও শান্তনীড় রেস্ট হাউস বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভাড়া দিয়ে দেয়া হয়েছে এসকেডি আমার বাড়ি রিসোর্ট। এসকেডি আমার বাড়ী রিসোর্টের মালিক সজল দাশ বলেন, পর্যটক কম আসায় প্রতি মাসেই ক্ষতি হচ্ছে। তাই রিসোর্ট ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। পর্যটকের খড়া কাটিয়ে উঠতে ২০১৭ সালে মৌলভীবাজার জেলা প্রসাশন থেকে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করে একটি কর্ম কৌশল প্রনয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরেও এর বাস্তবায়ন হয়নি। রয়ে গেছে কাগজে কলমে। এছাড়া ২০২২ সালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া ২০০৮ সালে এ জেলাকে পর্যটন জেলা ঘোষনা করা হলেও আজো গেজেট হয়নি। সাবেক জেলা প্রশাসক নাহিদ আহসান শ্রীমঙ্গলের জীপগাড়ি (চান্দের গাড়ি) বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওই গাড়িগুলোর ফিটন্যাসও নেই। চালকদেরও নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। বিদেশী পর্যটক আসলে তাদেরকে গাড়িতে তোলতে টানহেছড়া করে খারাপ ব্যবহার করে। অনেক সময় তাদের মালামাল এমনকি টাকাও হাতিয়ে নেয়। প্রশাসনের কিছু দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে মাশোয়ারা দিয়ে অবৈধভাবে ওই নিষিদ্ধ গাড়িগুলো চালাচ্ছে। এতে করে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। সচেতনমহল মনে করেন এদের বিরুদ্ধে দ্রæত পদক্ষেপ না নিলে পর্যটক এজেলার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এবং আস্তা হারাবে পর্যটকরা। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘পর্যটক কমছে এটা সত্য।

তবে এর কোন পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। আমরা আমাদের জায়গা থেকে পর্যটকদের অকৃষ্ট করার চেষ্টা করি। কিন্তু বাইরের দিকটা দেখার দায়িত্ব সরকারের। সরকারিভাবে কোন উদ্যোগ না থাকায় পর্যটক ধরে রাখা যাচ্ছে না।’ সেন্টার ফর টুরিজম স্ট্যাডি’র চেয়ারম্যান জামিল আহম্মেদ বলেন, ‘স্থানীয় ও জাতীয় দুটি সমস্যার কারনে মৌলভীবাজারে পর্যটক কমছে। এখানে রাতে বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। পর্যটন তথ্য কেন্দ্র নেই। রাস্তার পাশে দর্শনীয় স্থানের নিদের্শনা নেই, পর্যটন স্থানের ছবিসহ বিলবোর্ড নেই। পর্যটন স্থানগুলোতে কোন নতুনত্ব নেই। প্রচার প্রচারনা নেই। এছাড়া অধিকাংশ রিসোর্টে ভাড়া বেশী। অধিকাংশ খাবার হেটেলেও দাম বেশী। আর সরকারিভাবেও কোন উদ্যোগ নেই। সরকার উদ্যোগী হলে শুধু পর্যটন দিয়েই একটি দেশ কিভাবে ঘুরে দাড়াতে পারে তার প্রমাণ শ্রীলঙ্কা।’শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে দাশ সুমন বলেন, ২০২২ সালে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের উন্নয়ন এবং হোটেল রির্সোটের ভাড়া ও রেষ্টুরেন্টের খাবারের মূল্য নির্ধারন করে দেয়ার জন্য দুটি উপ-কমিটি করা হয়েছিল; কোন কাজ হয়নি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ব্যবস্থাপনার উপ-কমিটির সদস্য সৈয়দ মহসীন পারভেজ বলেন, ‘কমিটি করার পর আর কোন সভা হয়নি।’ কমিউনিটি ইকো টুরিজম’র নির্বাহী পরিচালক রাসেল আলম বলেন, ‘এখানকার অধিকাংশ রিসোর্টের যে ভাড়া সে টাকায় মানুষ দার্জিলিং ঘুরে আসতে পারেন। ২০১৭ সালে নেয়া কর্ম কৌশল পাঁচ বছরেও বাস্তাবায়ন হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দশ বছর পর এ জেলার পর্যটন শিল্পে ধস নামবে।’ এছাড়া আগামী ২৭ সেস্টেম্বর ঢাকায় পর্যটন মেলায় মৌলভীবাজার থেকে প্রদশর্ণী স্টল দেয়া হবে।’
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ‘২০১৭ সালের কর্ম পরিকল্পা ধরেই আমরা এগোচ্ছি। পর্যটন স্পটগুলোকে কিভাবে পর্যটক আকৃষ্ট করা যায় আমরা কাজ করছি। কোন স্পটগুলোতে স্থাপনা কবরো সেগুলো চিহ্নিত করেছি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..