শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
কুলাউড়া প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলী গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই প্রবাসীসহ তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ ওই প্রবাসী পরিবারের সদস্য মনসুর আহমদ, ছয়ফুল মিয়া, ছানু মিয়া এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কুলাউড়া থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত প্রবাসীদ্বয়ের বোন লীলা বেগম। হামলার ঘটনায় কুলাউড়া থানা পুলিশ আসামী সুলেমান মিয়াকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। মামলার মুল আসামী শিপু মিয়া গংরা আটক না হওয়ায় প্রবাসী ওই পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিন ও মামলাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলী গ্রামের বাসিন্দা মনসুর আহমদ ও ছয়ফুল মিয়া ওমানে থেকে আসার দিন গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে রাস্তায় প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার শিকার হোন। আসামী পক্ষ শিপু মিয়া গং আগে থেকে খবর পেয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা। সম্পর্কের নিকট আত্মীয় ছয়ফুল মিয়া ও শিপু মিয়া গংয়ের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকবার সালিশ বৈঠক হলেও তা মীমাংসা করা হয়নি।
হামলায় আহত ওমান প্রবাসী মনসুর আহমদ জানান, তিনি দেশে এসে পৌঁছার আগেই রাস্তায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন। শিপু মিয়া গংরা দা ও কুড়াল নিয়ে আমাকে ও আমার ভাই ছয়ফুল মিয়া, ছানু মিয়া, ইমরান আজম এর উপর প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। আসামী শিপু মিয়ার সাথে আমার স্ত্রীর পরকীয় সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি জানতে পারি। এ ঘটনার পর আমর বউ মাছুমা বেগম টাকা-পয়সা নিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।
মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার সাথে কারো কোন প্রকারের অবৈধ সম্পর্ক নাই। আমি ভয়ে আমার বাপের বাড়িতে চলে এসেছি। তবে আমার স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের জায়গা-জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সর্দার হারিছ আলী জানান, উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও আপোষ-মীমাংসা করা সম্ভভ হয়নি। প্রবাসীকে অতর্কিত হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ওই গ্রামে গিয়ে হামলায় আহতদের দেখে এসেছি। এ ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে তাই আইনীভাবেই এর সুরাহা হবে।
কুলাউড়া থানার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় আসামী সুলেমান মিয়াকে আটক করা হয়েছে এবং আসমীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিবাদী শিপু মিয়ার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।