সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
২. ইমতিয়াজের সঙ্গে বুয়েটের বাকি যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিলেন তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল ও টার্ম বহিষ্কার করতে হবে।
৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ চান।
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ কজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। অথচ রাত সাড়ে ১০টার পর যেখানে নিরাপত্তার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি নেই, সেখানে রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট বহিরাগতরা মধ্যরাতেই ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশ করে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও বলছেন, ২৮ মার্চ রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক বহিরাগত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ক্যাম্পাসের মেইন গেটের সামনে আসতে থাকে। বিপুল সংখ্যক বহিরাগত ক্যাম্পাসে অনায়াসে প্রবেশ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, মিছিলের মতো করে বিশাল একটি জনবহর হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে রাত ২টার পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিশাল জনবহরের সবাই বহিরাগত। তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সেসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের চিনতে পারেন।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী রাজনীতি নিষিদ্ধ এমন একটি ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে রাজনৈতিক সমাগম এবং বহিরাগতদের আগমন ক্যাম্পাসের মর্যাদার প্রতি অপমানজনক। একই সঙ্গে এটি একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা পরিবেশের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে আবরার হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি। এর আগেও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিলেন।