1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম

সৌদি আরবে বাড়ছে ‘অস্থায়ী’ বিয়ে, ঝুঁকছেন প্রবাসীরাও

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১
  • ১৮০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চুক্তি ভিত্তিক নামমাত্র বিয়ের সংখ্যা বেড়েছে সৌদি আরবে। শর্তহীন এই বিয়ে সৌদি সমাজে ‘মিসইয়ার’ নামে পরিচিত। তবে এই বিয়ে নিয়ে চিন্তিত সৌদির ‘ধর্মীয়’ ব্যক্তিরা। তাঁদের অভিযোগ ‘মিসইয়ার’-এর মাধ্যমে আদতে উচ্ছৃঙ্খলতাকেই বৈধতা দান করা হচ্ছে। খবর- হিন্দুস্তান টাইমস।

মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী বিয়ের আগে সহবাস অবৈধ। তবে এই মিসইয়ারের আড়ালে সৌদি ব্যক্তিরা ‘লিভ-ইন’ বা পরকীয়ায় মেতেছেন। এর জন্যে বিশেষ ‘ম্যাচ-মেকিং’ সাইটা বা গ্রুপও আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

প্রাথমিক ভাবে সৌদি সুন্নিদের মধ্যে ‘মিসইয়ার’ প্রচলন বেশি ছিল। শর্ত অনুযায়ী স্ত্রীর আবাস সংস্থান ও অর্থ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকবেন স্বামী। বিনিময়ে গৃহ রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার ঘরে ঢোকার অনুমতি পাবেন স্বামী।মিসইয়ার বিয়ের শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে নগদ অর্থ। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত থাকে এর মেয়াদ। তবে যেকোনো সময়ে উভয়পক্ষ মুসলিম বিয়ের মূল রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে পারবেন। আবার যেকোনো সময় একে অন্যকে ছেড়ে যেতে পারবেন। লোকলজ্জার ভয়ে সাধারণত এ বিয়ের কথা গোপন রাখা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম আরব নিউজ এ বিয়ের বাস্তবতা নিয়ে প্রতিবেদন রচনা করেছিল। কয়েক দশক ধরে স্থানীয়ভাবে আইনসিদ্ধ এ বিয়ের প্রবণতা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে যাওয়ায় সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সৌদি এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে যে বহুবিবাহে আগ্রহীদের জন্যই মিসইয়ার ব্যবস্থা মানানসয়ী। এদিকে মহিলারাও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরুষতান্ত্রিক নানা জটিলতা থেকে দূরে থাকতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিয়েগুলোর মেয়াদ ১৪ থেকে ৬০ দিন হয়। যারা বিয়ের পর স্ত্রীয়ের সম্পূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে রাখতে চান না, তারাই এ ধরনের বিয়েতে বেশি উৎসাহী। বহুগামী নারী-পুরুষ দ্বিতীয় সংসারের ভার বহন করে বেড়ানোর চাপ এড়িয়ে এই ধরনের সম্পর্কের সুবিধা উপভোগ করে থাকেন। বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের মধ্যে এই বিয়ে বেশ জনপ্রিয় বলে জানা গেছে।

কার্যত লিভ-ইনের মতো এই সম্পর্ককে হালাল বলে দাবি করেন এক সৌদি কর্মকর্তা। ৪০ বছর বয়সী সেই কর্মকর্তা নিজে ‘মিসইয়ার’ বন্ধনে আবদ্ধ বলেও জানান। রিয়াদের বাড়িতে তাঁর এক মিসইয়ার স্ত্রী রয়েছেন। তাছাড়া সাধারণ বিয়েও করেছেন তিনি। সেই স্ত্রীয়ের তিন সন্তান রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর এক বন্ধুর এরকম ১১ জন গোপন স্ত্রী রয়েছে।

এদিকে সৌদিতে বসাবসরত এক প্রবাসী এই বিষয়ে বলেন, ‘এই বিয়ে খুবই সস্তা। কোনো পণ লাগে না। কোনও বিধি-নিষেধ নেই। মহামারী শুরু হওয়ার পর আমি আমার স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী ছেলেকে কায়ারোতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরই আমি মিসইয়ারের সন্ধানে নামি।’ তিনি জানান ইনস্টাগ্রামের ম্যাচমেকার ‘খাতবা’র মাধ্যমে তিনি মিসইয়ারের সন্ধান করছেন। পছন্দ মতো পাত্র পেলে খাবতাকে ৫ হাজার রিয়েল দিতে হবে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..