শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : শীতে ঠাণ্ডা, সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রকোপ বাড়ে। কানে ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি বেশি হয়। শীতে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের দরকার হয় বাড়তি সুরক্ষার। তা না হলে অল্পতেই সর্দিকাশি, নিউমোনিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মা এবং গর্ভের সন্তানটিও অসুস্থ হয়ে পড়ে। জন্ম থেকেই ঠাণ্ডাজনিত নানা সমস্যায় ভুগতে থাকে শিশু।
শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সুস্থ থাকতে কোন বিষয়গুলি মেনে চলবেন তা বর্ননা করা হলো:
সকালবেলা উঠার অভ্যাস করুন: শীতকালে ঠান্ডার জন্য অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি সকাল শুরু করাই ভাল। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শরীরচর্চা ও প্রাতঃরাশ সেরে ফেলা যায়।
সুষম খাবার খান: মায়ের খাবারের মাধ্যমেই গর্ভের সন্তান তার পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। গর্ভবতী মা অসুস্থ হলে এর প্রভাব গর্ভের সন্তানের উপরও পড়ে। সেজন্য মায়ের সুষম খাবার ও তার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শীতকালে তাজা ফলমূল ও সবুজ সবজি খাওয়া উচিত বেশি করে। ফলমূল ও সবজির সাথে ডায়েটে জাফরান ও দুধ খাওয়া দরকার। এতে শরীর ঠিক থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন: শীতকালে আমাদের পিপাসা কম লাগে বলে আমরা স্বাভাবিকের তুলনায় খুব কম পানি খেয়ে থাকি। কিন্তু একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এটা মোটও ঠিক নয়। শীতকাল শুষ্ক ঋতু হওয়ার কারনে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি করে পানি খাওয়া উচিত গর্ভকালীন অবস্থায় । একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য দিনে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি খেতে পারেন ডাবের পানি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর তরল খাবার খেতে হবে।
বেশি করে ইনডোরে থাকার চেষ্টা করুন: অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে শীত কালে। আর শীতকালে খারাপ আবহাওয়ার ফলে বাতাসের ধুলাবালি ও বিভিন্ন জীবাণু খুব সহজে অসুস্থ্য হতে পারেন। এই কারনেই যতটা সম্ভব কম বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘরে আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে বেশি সময় কাটান। বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে ভুল বেন না।
উষ্ণ ও আরামদায়ক পোশাক পরুন: শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পোশাক যেন একই সাথে উষ্ণ ও আরামদায়ক হয়। বেশি টাইট পোশাক পরা যাবে না। এতে আপনার গর্ভের সন্তানের উপর চাপ পড়তে পারে। ঢিলেঢালা পোশাক পড়াটাই উত্তম।
ত্বকের সমস্যাগুলির যত্ন নিন : শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ত্বকের সমস্যাগুলির বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তবে ত্বকের যত্নে এই সময় বাজারচলতি প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার না করাই ভাল।
ঠিক ভাবে গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিলেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ ও সবলভাবে পৃথিবীতে আসবে। এই কারণেই গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে হবে বেশি করে।