সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
। মুজিবুর রহমান মুজিব।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি,এন,পির দীর্ঘকালীন সফল মহাসচিব, জেন্টিলম্যান পলিটিশিয়ান মির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন সহজ সরল সাদা মনের মানুষ। শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সু-সন্তান মির্জা ফখরুল বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থার মাঝেও দেশের বৃহত্তম দল বি,এন,পি-র মহাসচিবের ুুুুুুদায়িত্ব ভার নিয়ে আন্তরিকতা ও কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বি,এন,পি-র চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানি, ফরমায়েশী রায়ে কারাদন্ড ও কারাবাস, দেশ নেত্রীর অসুস্থতা তথা একটি কঠিন সময়ের মাঝেও ধৈর্য্য সহকারে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজের শারীরিক অসুস্থতা, মিথ্যা গায়েরী মামলা মোকদ্দমা অসহনীয় আওয়ামী হয়রানির মাঝেও নির্ভিক জিয়ার সৈনিক সাচ্চা জাতীয়তাবাদী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বার্ধক্য জনিত ব্যাধি, শারিরীক অসুস্থতা দূর্বলতার মাঝেও তিনি ছিলেন অবিচল অটল। আওয়ামী দুঃ শাসনামলে মামলা মোকদ্দমা কারা যাতনার মধ্যেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন কৃতিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে। একজন দক্ষ সংঘটক হিসাবে তিনি বিশদলীয় জোট গঠন এবং পরিচালনা তাঁর অফুরান আন্তরিকতা দল ও দেশ বাসি দেখেছেন। গনতন্ত্র মঞ্চ, বাম প্রগতিশীল জোট, ইসলামি ও সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহের সঙ্গেঁ তার সাংঘটনিক সু-সম্পর্ক ও যোগাযোগ ছিল। তার শিষ্টাচার, সৌজন্য বোধ ও বিনয়াচরনের কারনে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসাবে সকল মহলের সঙ্গেঁ তাঁর সুসম্পর্ক ও গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। প্রাক্তন অধ্যাপক মির্জা ফখরুল একজন সুবক্তা ও বটেন। মেধাবী এই রাজনীতিবিদ যেকোন সভানুষ্টানে বক্তব্য রাখেন বিষয়ভিত্তিক, সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট ভাবে। তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে কোন মার প্যেছ রাখ-ঢাক অস্পষ্টতা নেই। কতেক হাই ব্রীড নব্য আঁতেল হাতে মাইক পেলে মিডিয়া ম্যান দেখলেই বাকবাকুম পায়রার মত বাকবাকুম ভকর ভকর শুরু করেন, পর দিন পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠান তার মূল্যবান বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে। বাংলাভাষায় আমাদের সমাজে একটি কথা প্রচলিত আছে “এমন কথা বলবেন না লোকে বলবে উট, এমন জায়গায় বসবেন না লোকে বলবে উট”। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর মত নেতা ও মানুষের বেলায় একথা প্রযোজ্য নয়। দেশ ও বি,এন,পি-র কঠিন সময় কালেও বি,এন,পি-র মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথায় কাজে কৃতিত্ব ও দায়িত্ব বোধের পরিচয় প্রদান করেছেন। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কালে পাচই আগষ্ট আওয়ামীলীগ প্রধান-প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়ন সরকার পতনের পর জাতীয় সংকট ও শুন্যতার মাঝে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী, দক্ষ ও সুযোগ্য সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান এর নির্লোভ ও নির্ম্মোহ ঐতিহাসিক ভূমিকায় জাতি একটি ভয়াবহ, আত্বঘাতি, গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। দেশীয় রাজনৈতিক সংকট, শুন্যতা ও ব্যর্থতার সুযোগে উচ্চাভিলাসী সামরীক জান্টা অসৎ আমলাতন্ত্র এবং মেরুদন্ডহীন দূর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ মিলে গনতন্ত্রের বুকে পদাঘাত করে “দেশও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে দেশে শান্তি শৃংখলা রক্ষার প্রয়োজনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছি, সি,এম,এল,এ হয়েছি সময় হলেই ব্যেরাকে ফিরে যাব” সেই পাকিস্তানী আমলে জেনারেল আয়ুব ইয়াহিয়া খান স্বাধীন বাংলাদেশে লেঃ জেনারেল এইচ,এম,এর্শাদ সাহেবরা ক্ষমতায় এসেছেন। ব্যেরাকে ফিরে যান নি। তাঁদেরকে ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে দিতে হয়েছে। এই জমানায় গেল পাঁচই আগষ্ট বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর পলায়ন, মহামান্য রাষ্ট্র পতিছাড়া, মাননীয় স্পিকার থেকে শুরু করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এর খতিব সাহেব জনরোসে আত্ব গোপনে গেলেন। সরকারি দলের নেতা পাতিনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটি পতি পিয়ন পানি জাহাঙ্গীঁররা পলায়ন করলে ৫থেকে আট আগষ্ট বাংলাদেশে কোন সরকার ছিল না, আওয়ামী আই,জি,পি ও আওয়ামী পুলিশ পলায়নে আন্ডার গ্রাউন্ড সেখানে জেনারেল মঈনহউ আহমদ ষ্টাইলে ক্ষমতা দখল কোন ব্যাপার ছিল না। ঢাকা মহানগরে প্রায় সকল থানা সমূহের আওয়ামী অফিসার ইনচার্জরা থানা ফেলে পলায়ন করলেন পলাতক আসামীদের মত আন্ডার গ্রাউন্ডে গেলেন, সেখানে জাতির সেই সংকট ও ক্রান্তি কালে দেশের জনগন আন্দোলনরত সংগ্রামী ছাত্র সমাজ দেশীয় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন, নাগরিকগনকে সেবা দিয়েছেন। দেশীয় শান্তি শৃংখলা রক্ষায় দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রশংসনীয় ভূমিকা চীরকাল দেশ ও জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করবেন। সেই সংকট কালে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান দেশ রক্ষা, নাগরিক সমাজের জান মালের হেফাজত করার জন্য দেশব্যাপী সমারীক আইনজারী করে তিনি সি,এম,এল,এ হতে পারতেন। কিন্তু সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান দেশের ক্ষমতা দখল না করে ক্ষমতা দেয়ার জন্য প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখেন। ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও ঘৃনিত স্বৈরাচার ও তার নির্লজ্য বেহায়া দোসর ছাড়া দেশের সকল দল ও মতের রাজনৈতিক দল সমূহের সঙ্গেঁ যোগাযোগ করত ছাত্র জনতার মতামত নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তিকালীন সরকার গঠন করেন। এই সরকার গঠনেও বি,এন,পি-র মহাসচিব মির্জাফখরুল ইসলাম আলমগীর এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বিরাজমান সংকট নিরসনে নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করতঃ বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করছেন। সম্প্রতি তিনি বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাত কারে বলেছেন “যদি অন্তবর্তী সরকার পূর্ন নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলে তারা নির্বাচন কনডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে কোন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে”। বি,এন,পি মহাসচিবের এই বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন এমন কোন পরিকল্পনা গনতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র জনতা কোন ভাবেই মেনে নেবে না। বি,এন,পি মহাসচিবের বক্তব্য ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এর কড়া জবাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গঁন মিডিয়া ভূবন। টিভি টকশো সমূহে ও এ নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা হচ্ছে। নাগরিক ঐক্য প্রধান বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ বলছেন একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে বি,এন,পি-র মহাসচিব এমন বক্তব্য দিতেই পারেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক সোহরাব হাছান দৈনিক প্রথম আলোর পচিশে জানুয়ারীর সংখ্যায় রাষ্ট্রও রাজনীতি বি,এন,পি ও ছাত্র নেতাদের বিতর্কে লাভ কার? শিরোনামে সার গর্ভ প্রতিবেদন পেশ করেছেন। তিনিও বি,এন,পি মহাসচিবের উক্তির স্বপেক্ষ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সোহরাব হাসান লিখেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার জন্য বি,এন,পি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল একদশক ধরে (২০১৪-২০২৪) আন্দোলন করেছেন। সেক্ষেত্রে অন্তবর্তী সরকারের কেহ রাজনৈতিক দল করতে আগ্রহী হলে, বি,এন,পি-র মহাসচিবত প্রশ্ন করতে পারেনই। এটাকে ভিন্ন চোখে দেখার সুযোগ নেই। সরকারের উচিত তাদের অবস্থান পরিস্কার করা। অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে একটি অধ্যাদেশজারী করার ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, এই সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতা করবে না এবং তারা একটি অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। কিন্তু সেই অধ্যাদেশ শেষ পর্যন্ত জারী না হওয়ায় অনেকের মধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে”। মাননীয় উপদেষ্টার ওয়ান উলেভেন সংক্রান্ত অভিমতের প্রেক্ষিতে সরকার এর দুইজন মাননীয় উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সৈয়দা রেজোয়ানা হাসান এই বিতর্কের অবসানে খুবই ইতিবাচক অভিমত ব্যক্ত করেছেন, তাঁরা প্রকারান্তরে বি,এ,পির-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বক্তব্যের চেতনার সঙ্গেঁ ঐক্যমত পোষন করে বলেছেন, কোন উপদেষ্টা রাজনীতি করলে, করতে চাইলে উপদেষ্টার পদ ত্যাগ করে করবেন। অন্তবর্তী কালীন সরকার নির্বাচনের সময় নিরপক্ষে ভূমিকা পালন করবে। মাননীয় উপদেষ্টাদ্বয় এর এই সাফ জবাব বিদ্যমান ওয়ান ইলেভেনী উত্তাপ প্রশমিত হবে। কারন পাঁচই আগষ্ট্রের ছাত্র-জনবিপ্লবের ফলও ফসল প্রফেসর ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান জাতীয় ঐক্যমতের এই সরকার। পতিত স্বৈরাচার ছাড়া সমগ্র দেশ ও জাতি এই সরকারের সমর্থক, এই সরকারের দূর্বলতা ব্যর্থতা সমগ্র জাতির ব্যর্থতা যা স্বৈরাচার এর পূনরুত্থান এর পথকে সুগম করবে যা দেশও জাতির কাম্য নয়। বিগত দিনে ডক্টর ফখর উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত দীর্ঘ মেয়াদি তত্ত¡াবধায়ক সরকার ছিল বি,এন,পি বেগম খালো জিয়া, তারেক রহমান ও কতেক ব্যবসায়ীদের জন্য ছিল আজাব, গজব ও গর্দিসের মত। দুই হাজার এক সালের সংসদ নির্বাচনে বি,এ,পি দেশ নেত্রী বগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করতঃ বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়- দেশ ব্যাপী উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন পনেরো দলীয় জোট একদিনও শান্তিতে থাকতে দেব না-ঘোষনা দিয়ে সাংবৎসরিক ভাবে জ্বালাও পোড়াও দাঙ্গাঁ হাঙ্গাঁমা আইন শৃংখলা বিরোধী কাজ চালাতে থাকেন। উপমহাদেশীয় হরতাল-ই-ইতিহাসে আওয়ামীলীগ একশত তেয়াত্তোর দিন হরতাল পালন করে রেকর্ড সৃষ্টি করে। ঢাকায় আওয়ামীলীগ লগি বৈঠা-আমদানী-প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা স্বাভাবিক জনজীবনকে অচলও বিপর্য্যস্থ করে দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের মেয়াদ শেষে সংবিধান মোতাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকার সংসদ নির্বাচন পরিচালনা এবং নতুন সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গঠনের কথা। তখন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রফেসর ডক্টর ইয়াজ উদ্দিন আহমদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন পনেরো দলীয় জোট হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, জ্বালাও পোড়াও কর্ম সূচী দিয়ে দেশীয় অর্থনীতিকে স্থবির এবং জনজীবন বিপর্য্যস্থ করে দেয়। এমন অরাজকতার সুযোগ নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ. আহমদ তার কতেক মিত্র সহ তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ডক্টর ইয়াজ উদ্দিনের সাথে সাক্ষাত করতঃ তার প্রেসসেক্রেটারী মকলিছুর রহমান চৌধুরীকে বঙ্গঁভবন থেকে বের করে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মত বিভিন্ন ঘোষনা করায়। নবেম্বরের এক তারিখ এই অঘোষিত সেনা শাসন বাংলাদেশের সমকালীন সমাজও রাজনীতির ইতিহাসে এক এগারো “ওয়ান ইলেভেন” হিসাবে কুখ্যাত। এই অঘোষিত সেনা শাসন বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বি,এন,পি দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পরিবারের জন্য ছিল আজাব, গজবও গর্দিশ। “এবরিবডি ইজইকুয়েল ইনদি আই অবল, ন-বডিইজ এবাবল’ আইনের চোখে সকলেই সমান, আইনের উর্ধ্বে কেহ নহেন” এমন ঘোষনা দিয়ে ড. ফখর উদ্দিন জেনারেল মঈন উদ্দিনের সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার শুরুত বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনা সহ গনগ্রেপ্তার শুরু করলেও সরকার অতঃপর নিরপেক্ষতা হারিয়ে তলেতলে লাইন করে আওয়ামী পহ্ণী হয়ে যায়। সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমদ ভারত সফরে যান-সম্মানিত হন- ঘোড়া উপহার পান। ভারতের হর্স ডিপ্লমেসী অশ্বকুটনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের তত্ত¡াবধায়ক সরকার আওয়ামী আঁতাতের মাধ্যমে দুই বৎসর পর পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে বিশাল বিজয় নিয়ে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন, সেই যে সিন্দাবাদের ভূতের মত জাতির ঘাড়ে চেপে বসে ছিল আওয়ামীলীগ, হাল আমলে আগষ্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার জোয়ারে ভেসে গেলেন পালিয়ে গেলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক এগারোর ফখর উদ্দিন মঈন উদ্দিনের দীর্ঘ মেয়াদী তত্ত¡াবধায়ক সরকার আওয়ামীলীগের আন্দোলনের ফসলবলে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা অহংকার করেই বলতেন। মোদ্দা কথা এক এগারোর তত্ত¡াবধায়ক সরকার এর উপকার ভোগি আওয়ামীলীগ, ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে বি,এন,পি এবং দলীয় নেতৃবৃন্দ। এক এগারোর দুই কুশিলব ফখর উদ্দিন মঈন উদ্দিন আওয়ামী আতাতের ফলে “পেইন ফুল এগজিট” বিলেত আমেরিকায় দেশান্তর। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া, দেশ নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান বহু দলীয় গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এক দলীয় বাকশাল ব্যবস্থার পরিবর্তে বহুদলীয় গনতান্ত্রীক ব্যবস্থা চালু করেন। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একান্নবই সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচনে জয় লাভ করে তিন জোটের রূপরেখা মোতাবেক এয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে জবাব দিহিতা মূলক সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু করেন। বি,এন,পি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ প্রজন্মের প্রিয়নেতা তারেক রহমান আগষ্ট বিপ্লবে অংশ গ্রহনকারী ছাত্র সমাজের উদ্দ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের কার্য্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বি,এন,পির পক্ষথেকে সংগ্রামী ছাত্র সমাজের উদ্দ্যোগে রাজনৈতিক দলগঠনকে শর্ত স্বাপেক্ষে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বি,এন,পি-র মত দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কোন রাজনৈতিক দলকে প্রতিপক্ষ প্রতিদন্ধী মনে করেন না বরং সংসদীয় গনতন্ত্র সংসদীয় সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে নতুন রাজনৈতিক দল আত্ব প্রকাশ প্রাসঙ্গিঁক ও ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস জাতীয় ঐক্যমতের সরকার এর প্রধান উপদেষ্টা। তাঁর সরকার কিংবা উপদেষ্টা পরিষদ এর এমন কোন কাজ করা বা এমন কথা বলা উচিত নয় যাতে জাতীয় ঐক্যমতের এই সরকার এবং সরকার প্রধান মোহাম্মদ ইউনুসের ভাব মূর্তি বিনষ্ট হয়। ওয়ান ইলেভেন মানে সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার, জরুরী আইন ইত্যাদি। ওয়ান ইলেভেনের সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমদ ছিলেন লোভি ও ক্ষমতা লিস্পু। উচ্চাভিলাসি। বর্তমান সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান নির্ম্মোহ। নির্লোভ। ওয়ান ইলেভেনের সেনা প্রধান জেনারেল মঈন ইউ, আহমদ ক্ষমতা নিয়েছেন। ভোগ করেছেন। অশ্ব কুটনীতির ভেড়াজালে জড়িয়ে দেশের ক্ষতি করেছেন। বর্তমান সেনা প্রধানকে ওয়ান ইলেভেনের সেনা প্রধানের সঙ্গেঁ তুলনা করা যেতে পারে না। উচিত নয়। তাই ওয়ান ইলেভেন উক্তিটি প্রত্যাহার সময়ের দাবী।
[মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। এডভোকেট হাইকোর্ট।]