সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুট দিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ আর স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছেন। আজ রবিবার সকাল থেকে এ নৌরুটে সচল ছয়টি ফেরিতে লোকজন গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন। কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজা নৌরুটে বর্তমানে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য যানবাহন কিংবা যাত্রীদের চাপ নেই। তবে বাংলাবাজার থেকে যেসব ফেরি আসছে, তাতে যাত্রী এবং ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে।
এদিকে রবিবার সকাল থেকে ছোট ছোট যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসে ভিড় করছেন শত শত যাত্রী। বিধিনিষেধ চলায় ফেরি চলাচল সীমিত করার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে তাদের ।
বার বার ফেরিতে উঠলেও তাদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেতে হচ্ছে এক ফেরি ঘাট থেকে অন্য ফেরি ঘাটে। এভাবে ভোগান্তি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে, লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও নানা অজুহাতে ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার হতে দেখা গেছে ফেরিগুলোতে। পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের সাথে এসব যানবাহন পার হতে দেখা গেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলোয়।
সরকারি নির্দেশনায় পণ্যবাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বিধিনিষেধের আওতায় থাকা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এসব যানবাহন অবাধে নদী পারাপার হচ্ছে।
দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, আজ দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহন পারাপার বেশি হচ্ছে। বিধিনিষেধের কারণে ফেরির সংখ্যা সীমিত আকারে চালানো হচ্ছে।
তবে যেসব ব্যক্তিগত যানবাহন ফেরি পার হচ্ছে সেগুলো মহাসড়কে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।