সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষা ভবনের (শিক্ষা অধিদপ্তর) ভুল ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রি দেওয়ার কারণে সমন্বিত (এইচএসপি) উপবৃত্তি পায়নি ইন্টারমিডিয়েট ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নির্বাচিত ২৩০ জন হতদরিদ্র শিক্ষার্থী। সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসুচির প্রোগ্রামার বরাবরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঠিক ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রির আবেদন উপেক্ষিত হওয়ায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রায় ১৮ হাজার টাকার উপবৃত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলো। শিক্ষার্থী অভিভাবকরা এ উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেধাবী, দুস্থ, দরিদ্র-অসহায় ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত (হারমোনাইজড স্টাইপেন্ড প্রোগ্রাম) উপবৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বড়লেখা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে উক্ত উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এইচএসপি অপশনে এন্ট্রি করার কথা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি সাধারণ বৃত্তির অপশনে এন্ট্রি দিয়েছে। এতে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসুচির (এইচএসপি) অপশনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কোনো তথ্য যায়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিভাবক দিলিপ বিশ্বাস, কার্তিক দাস, চিত্ত বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমূখ অভিযোগ করেন, অনেক টানাপোড়নের মধ্যে তারা সন্তানদের কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছেন। অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৮ হাজার টাকা করে উপবৃত্তি পেয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে তাদের ছেলে-মেয়েরা সরকারের দেওয়া বিরাট অঙ্কের উপবৃত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলো। এ টাকা করোনা কালিন সময়ে তাদের কত না উপকারে আসতো। তারা সমন্বিত উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানান।
বড়লেখা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জায়েদ আহমদ ভুল অপশনে সমন্বিত উপবৃত্তির জন্য তার কলেজের নির্বাচিত ২৩০ জন শিক্ষার্থীর ডাটা এন্ট্রি দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাটি ধরা পড়ার সাথেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ফরওয়ার্ডিংসহ তিনি গত ১৪ জানুয়ারি প্রকল্পের স্কিম পরিচালক বরাবরে হার্ডকপিসহ সংশোধনের আবেদন করেন। আশ্বাসও দেওয়া হয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখিন।