বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাত্রা শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল। শুরুতে ৩৫৭ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল দ্রুতই এক হাজার শয্যায় রূপান্তর করার। তবে রোগীর চাপ না থাকায় আপাতত শয্যা বাড়ানো হচ্ছে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসএমএমইউর অ্যানেস্থিসিয়া অ্যান্ড আইসিইউ ডিপার্টমেন্ট কনসালটেন্ট ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ায় আমাদের ওপরও তেমন চাপ নেই। আইসিইউ, এইচডিইউগুলোর সব শয্যাই প্রায় পূর্ণ, তবে সাধারণ শয্যার অনেকই খালি আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব কোভিড ফিল্ড হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৩৬০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ জন রোগী। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪৭ জন।
এ ছাড়া বিএসএমএমইউয়ের কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টারে ১২ হাজার ৪শ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৪৩১ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৫ হাজার ৩৫০ জন। বর্তমানে করোনা সেন্টারে ভর্তি আছেন ১৬৪ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেকটা প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে শুরু হলেও এখন আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। শয্যা সংখ্যা আগে যা ছিল ৩৫৭টি, এখনো তাই আছে। বেড সংখ্যা হয়ত আপাতত বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ এগুলোতে তো আসলে জনবল লাগে অনেক। হঠাৎ করেই এত জনবল যুক্ত করাটা কঠিন। তবে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। হাসপাতালের উপরের তলাগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা আছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যাত্রা শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ফিল্ড হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন।
তখন হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম দিনে ৩৫৭টি শয্যা নিয়ে আমরা হাসপাতালটি শুরু করেছি। প্রতিটি শয্যাতেই আইসিইউ রয়েছে। সব মিলিয়ে শিগগিরই হাজার শয্যার হাসপাতাল হবে এটি।