বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক: পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোর অভাবে মেজাজ খারাপের পাশাপাশি ঘুমের সমস্যা হতে পারে। শুধু
তা-ই নয়, বিষণ্নতায়ও ভুগতে পারে মানুষ।
দিনের কিছুটা সময় ঘরের বাইরে সূর্যের আলোতে থাকলে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। এতে ঘুমের সমস্যা কম হয়।
পাশাপাশি বিষণ্নতার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সায়েন্স এলার্ট।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরের মোনাশ ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ও ঘুমবিষয়ক গবেষক শন কেইন বলেন,
দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সান্নিধ্যে আসা জরুরি। পাশাপাশি রাতের বেলা আমাদের কৃত্রিম আলোর মধ্যে কম থাকা উচিত।’
নতুন এই পর্যবেক্ষণধর্মী গবেষণায় কেইন ও তার সহকর্মীরা ঘুম ও মেজাজের ওপর সূর্যের আলোর প্রভাব খতিয়ে দেখেন।
গবেষণাটিতে যুক্তরাজ্যের চার লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের মেজাজ, ওষুধ গ্রহণ এবং গ্রীষ্ম ও শীতকালে ঘরের বাইরে সূর্যের আলোতে থাকা সময়সহ
অন্যান্য প্রশ্ন করা হয়।
অংশ্রগ্রহণকারীদের করা প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে গবেষকরা জানতে পারেন, গড়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সূর্যের
আলোতে থাকেন গবেষণায় অংশ নেয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা।
আগের গবেষণায় জানা গিয়েছিল, বাইরে ও প্রকৃতির মাঝে বেশি সময় কাটালে নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত উপকার পাওয়া যায়।
প্রাকৃতিক আলো মানবদেহের সিরক্যাডিয়ান রিদমে (২৪ ঘণ্টায় শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন) বেশ
গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোর অভাবে মেজাজ খারাপের পাশাপাশি ঘুমের সমস্যা হতে পারে। শুধু তা-ই নয়,
বিষণ্নতায়ও ভুগতে পারে মানুষ।
কেইন নেতৃত্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মানুষের বিবর্তন এমন এক পরিবেশে হয়েছে, যেখানে দিন ও
রাতের পার্থক্য স্পষ্ট।
‘তবে আমাদের আধুনিক জীবন এ পার্থক্য ঘুচিয়ে দিয়েছে। মানুষ এখন বেশির ভাগ সময় রাতের কৃত্রিম আলোতে কাটায়।’
গবেষকদের ভাষ্য, এ পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক জটিলতায় ভোগে মানুষ।
কৃত্রিম আলো মানবদেহে ঘুমে সহায়তাকারী হরমোন মেলাটোনিন কমায়। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
আগে করা এক গবেষণায় কেইন ও তার সহকর্মীরা জানতে পারেন, মেলবোর্নের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা সূর্যের
আলোতে কম থাকায় তাদের মেলাটোনিন ৫০ শতাংশ কমে যায়।