মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
মশাহিদ আহমদ: রাজনগর উপজেলার দক্ষিন করাইয়া গ্রামে পৃর্বের বিরোধকে কেন্দ্র করে পুত্রবধু দুই সন্তানের জননী রেবা বেগম (৩২) এর লাঠির আঘাতে বয়োবৃদ্ধ শাশুরী গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রেবা বেগম ৬নং টেংরা ইউনিয়নের পন্ডিতনগর গ্রামের মনির মিয়ার কন্যা। পুত্রবধুর অত্যাচারে অতিষ্ট শাশুরী ৭নং কামারচাক ইউনিয়নের দক্ষিন করাইয়া গ্রামের কনা বেগম উরফে ঝরফুল বিবি (৬১) এ ঘটনায় মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা ( নং- সিআর- ১৩০/২১) মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে পুত্রবধু রেবা বেগমকে অভিযুক্ত করে উক্ত মামলা সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করেছেন। অপরদিকে, অত্যাচারে অতিষ্ট কাতার প্রবাসী স্বামী ইলয়াস মিয়া ওরফে সিপার মিয়া স্ত্রীর জুলুম নির্যাতনের প্রতিকার, আত্মসাতকৃত মালামার উদ্ধার ও জীবনের নিরাপত্ত চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ দৃতাবাসে লিখিত অভিযোগ ( স্বারক নং- ৪৯.০১.৯৭৪১.০০৭.১৬.১৫.২০১৭-৬০৯) দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- বিদেশ থেকে পাঠানো ৭ লক্ষ টাকার হিসাব না দেয়া, বৃদ্ধা মাকে শারিরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করা, স্বামীকে স্বামী হিসেবে মূল্যায়ন না করা, জোরপূর্বক স্বাক্ষর আদায় করা, বাড়িতে অবস্থান না করা, স্বামীকে বাড়িতে না থাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা, স্বামীকে সময় না দেয়া, ইসলামী পোষাক পড়তে বাধা দেয়া, শ্বশুর শাশুড়ীকে অমান্য করাসহ স্বেচ্ছাচারী ভাবে স্ত্রী রেবা বেগম (৩২) এর চলা ফেরা করাসহ একাধিক ঘটনায় অতিষ্ট পরিবার। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক অনুষ্টিত হলেও কোন সুরাহা হয়নি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়- উপজেলার দক্ষিন করাইয়া গ্রামের মৃত রুপা মিয়ার পুত্র কাতার প্রবাসী ইলয়াস মিয়া ওরফে সিপার মিয়া এর সাথে পন্ডিতনগর গ্রামের মনির মিয়ার কন্যা রেবা বেগম এর সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। তাদের ঘরে ২ পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে নানা বিধ কারনে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে কয়েক দফা ঘরোয়া বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত ৭ আগষ্ট পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে শাশুরীকে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করে। এবং স্বামী ইলয়াস মিয়া ওরফে সিপার মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে দোহা-কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী স্বামী ইলয়াস মিয়া ওরফে সিপার মিয়াসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ কওে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জনকে আসামী করে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা ( নং-১৯, তারিখ ঃ ২০/০৮/২০২১ইং) দায়ের করেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে পুত্র বধু রেবা বেগম তার বিরোদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- শশুর বাড়ীর লোকজনদের কাছে জিম্মি অবস্থায় ছিলাম। রাজনগর থানার পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তাদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান- পুত্র বধু রেবা বেগমকে পুলিশ উদ্ধার করে নি। ভুক্তভোগী থানায় মামলা দায়ের করেছে। দীর্ঘদিন ধরে এ বিরোধ চলছে।