ক্রীড়া ডেস্ক : চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে নিজেদের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকার কাছে ম্যাচটি একেবারেই নিয়মরক্ষার।

গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে ক্যারিবিয়দের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই, পরাজয় মানেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়া। পক্ষান্তরে আগের তিন ম্যাচে পরাজিত লংকানদের এ ম্যাচ থেকে কিছুই পাওয়ার নেই।

আজ বৃহস্পতিবার আবু ধাবিতে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলংকা।

সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের কাছে ৬ উইকেটে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৮ উইকেটে হারে ক্যারিবীয়রা। তবে তৃতীয় ম্যাচে দারুণ এক জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩ রানে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখে কাইরন পোলার্ডের দল। ৩ খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট ২।

বিশ্বকাপে টিক থাকতে হলে অবশ্যই আজকের ম্যাচে জিততে হবে। এ ছাড়া পরের ম্যাচ অস্ট্রিলিয়াকেও হারাতে হবে ক্যারিবিয়ানদের। শুধু তাই নয় ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে পোলার্ডদের। কেননা এই ম্যাচে যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হেরে যায় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে যদি অস্ট্রেলিয়া পায় তাহলে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্ডিজের পয়েন্ট সমান হবে।

সেক্ষেত্রে রান রেটের হিসেবে যে এগিয়ে থাকবে সে দলই ইংল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনালে উঠবে। যদিও রান রেটে অনেক পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এখন পর্যন্ত নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার ও বোলাররা। দলের একাধিক পাওয়া হিটার থাকা সত্বেও বিধ্বংসী রূপ প্রদর্শন করতে পারেননি এভিন লুইস, ক্রিস গেইল, পোলার্ড-আন্দ্রে রাসেলরা। বল হাতে বোলারদের বড় কোনো সাফল্য নেই।

এদিকে এবারের বিশ্বকাপ থেকে আর কিছুই পাওয়ার নেই শ্রীলংকার। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারালেও, অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের কাছে যথাক্রমে ৭ উইকেটে, ৪ উইকেটে ও ২৬ রানে ম্যাচ হারে তারা। ৪ খেলায় ৩ ম্যাচ হারলেও কিঞ্চিৎ আশা ছিল লঙ্কানদের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের হার সুপার টুয়েলভ থেকে শ্রীলংকার বিদায় নিশ্চিত করে ফেলে।

টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলংকা। দুদলের জয় সমান সাতবার করে। বিশ্বকাপে মঞ্চে সাতবার দেখা হয় তাদের। লংকানদের জয় পাঁচবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় দুবার।