মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত এই ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পটুয়াখালীতে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, সকাল থেকে পটুয়াখালীতে ট্রেস বৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়ায়েদ ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থা করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গভীর বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।
আজ (শনিবার, ৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার, মংলা বন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার ও পায়রা বন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থন করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তাল বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে ‘জাওয়াদ’। এরপর আরো কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছাবে।