1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কীভাবে চিনবেন বিষধর সাপ?

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০৪ বার পঠিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাপ নামক এই সরীসৃপ প্রাণীটি এবং তার বিষ সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন।

সাপ বিষধর না বিষহীন, তা বুঝবেন কেমন করে?

সময়মতো সাপের কামড়ের চিকিৎসা করলে অল্প সময়েই সুস্থ হওয়া সম্ভব। সাধারণত গোখরো, চন্দ্রবোড়া, শঙ্খচূড়ের মতো সাপ বিষাক্ত হয়।

বিষহীনদের তালিকায় রয়েছে জলঢোড়া, দাঁড়াশ।

শোনা যায়, বিষাক্ত সাপের চোখের মণি একটু লম্বাটে হয় এবং বিষদাঁত গুলিও বেশ লম্বা হয়।

অন্যদিকে বিষহীন সাপের চোখের আকার গোল হয়। এদের দাঁত থাকলেও তাতে বিষগ্রন্থী থাকে না।

সাপের বিষের অন্যতম উপাদান হল প্রোটিন ও এনজাইম। এই এনজাইম নাকি মানুষের ক্ষতি করে। লোহিত কণিকাকে ভেঙে ফেলে। যার ফলে রক্তচাপ ভীষণভাবে কমে যায়। পেশি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।

এছাড়াও নিউরোটক্সিন নামের পদার্থ থাকে যা অত্যন্ত বিষাক্ত বলেই জানা গিয়েছে।

এমন বিষ শরীরে প্রবেশ করলে কী হবে?

সাপের বিষ শরীরে ঢুকলে শরীর আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকবে।
যেখানে সাপ কামড়েছে তা প্রবল জ্বালা করতে শুরু করবে। আর এই জ্বালা বাড়তে থাকবে।
ক্ষতস্থান ক্রমাগত ফুলে উঠবে। আশেপাশের সমস্ত কিছু ঝাপসা দেখতে শুরু করবেন।
ঢোক গিলতে গেলে অসুবিধা হবে। মাথাঘোরা, বমি ভাব থাকবে।

বিষধর সাপ কামড়ালে কী করা উচিত?

সবার আগে সাপের কামড় খাওয়া মানুষকে আশ্বস্ত করবেন। সাপের কামড় মানেই মৃত্যু নয়, তা বোঝাতে হবে।
ক্ষতস্থান খুব সাবধানে পরিষ্কার ভেজা কাপড় বা জীবাণুনাশক লোশন দিয়ে মুছে দেবেন।
শরীরের বাকি স্থানে যাতে বিষ ছড়াতে না পারে, তার জন্য ক্ষতস্থানের উপরের অংশ বেঁধে দিতে হবে।
রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাছের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে কোন প্রজাতির সাপ কামড়েছে। তা জানার চেষ্টা করবেন।

সাপের বিষ শরীরে প্রবেশ করলে কী কী করবেন না?

ক্ষতস্থানটি বেশি নড়াচড়া করবেন না। এতে বিষ দ্রুত ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
ধারাল অস্ত্র দিয়ে কেটে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত করানোর চেষ্টা করবেন না।
চুষে বিষ বের করার চেষ্টাও কখনও করবেন না।
অ্যাসিড জাতীয় কিছু জিনিস দিয়ে ক্ষতস্থান পোড়ানোর চেষ্টা করবেন না।
ক্ষতস্থানে চুন বা গাছ-গাছড়ার রসও দেবেন না।
জোর করে বমি করানোর চেষ্টা করানোও উচিত নয়।

বিষধর হোক বা বিষহীন, সাপের কামড় খেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। অযথা ভয় পাবেন না বা না জেনে নিজে নিজে চিকিৎসা করতে যাবেন না।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..