সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্য এশিয়ার তেল সমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহরে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা দাঙ্গায় রূপ নেওয়ায়- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেখানে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্যারাট্রুপারসরা। আকস্মিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটির জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে সরকারের পদত্যাগের পরেও বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা অব্যাহত রেখেছে। (সূত্র: আলজাজিরা)
কাজাখস্তানের পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান শহর আলমাতিতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ১৮ জন সদস্যও মারা গেছেন, যার মধ্যে দুই জনের মাথা কেটে ফেলা হয়েছে। সহিংসতার জেরে আটক হয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষ। টানা কয়েক দিন ধরে সহিংসতা বিরাজ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারি জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেন, বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের এই বিক্ষোভ থামাতে তিনি সিএসটিও-ভুক্ত (কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন) দেশগুলোর কাছে সহায়তা চান। এর পরই প্রতিবেশী দেশে সৈন্য পাঠানোর পদক্ষেপ নেয় রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েতভুক্ত দেশ রাশিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানের মধ্যকার একটি সামরিক চুক্তি হচ্ছে সিএসটিও।
এর আগে বুধবার রাতেই সিএসটিও-র চেয়ারম্যান আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশেনিয়ান ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে কাজাখস্তানে ‘সীমিত সময়ের জন্য’ শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশটিতে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের জেরে কাজাখস্তানে সরকারের পতন ঘটে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সহিংস আন্দোলনের মধ্যে আলমাতি শহরের রাস্তায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু যানবাহন, আগুন দেওয়া হয়েছে সরকারি ভবনগুলোতে, প্রেসিডেন্টের আবাসিক ভবনের আশপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বুলেটের খোসা। ঘটেছে লুটপাটের ঘটনাও।