সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
মোঃ আব্দুল কাইয়ুম :: মৌলভীবাজারে আদালতের নির্দেশে প্রায় ৯ লক্ষ টাকারও বেশি সমমূল্যের জব্দকৃত অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট এবং জব্দকৃত চকলেট আগুনে পুড়ে ধ্বংশ করল মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে মৌলভীবাজার মডেল থানা প্রাঙ্গনে পুলিশের ঊর্ধবতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সদর থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত ৯লক্ষ ৩১ হাজার শলাকা অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট,চকলেটসহ বেশ কিছু পণ্য পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়ে ধবংশ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধ্বংশ করা ভারতীয় এসব নাসির বিড়ির বাজার মূল্য প্রায় ৯লক্ষ টাকারও বেশি হবে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন,মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান (জিয়া),সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক,ওসি (তদন্ত) গেলাম মর্তুজা ও মালখানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামাল উদ্দিনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ২০১৯ ও ২০২০ সালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে চালানো অভিযানে ৯ লক্ষ ৩১ হাজার অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়ি ও মেয়াদোত্তীর্ণ কিটক্যাট চকলেট,ওরিও বিস্কুট,এলোভেরা জেলসহ নানা ব্র্যান্ডের বেশ কিছু পণ্য জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় থানায় দায়ের করা (ধারা-১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি) মামলা পরবর্তীতে আদালতে দাখিল করা হয়। থানার মালখানায় সংরক্ষিত জব্দকৃত পণ্য মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কামাল উদ্দিন পুলিশের পক্ষে জেলা দায়রা জজ আদালতে ধবংশের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, থানা ভবনের একটি মাত্র কক্ষে জব্দকৃত এসব পণ্য সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে জায়গার অভাবে সংরক্ষিত পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে পরিবেশ দূষণ হয়ে করোনাকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এমন কারন দেখিয়ে চলতি মাসের ২৭ জানুয়ারি জব্দকৃত পণ্যের নমুনা রেখে দিয়ে অবশিষ্ট আলামত ধধ্বংশের আবেদন করা হলে আদালত তা ধ্বংশের আদেশ দেন। এর পরই পুলিশ এসব পণ্য ধ্বংশের উদ্যেগ গ্রহণ করেন।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান (জিয়া) জানান,থানা থেকে বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে এসব পণ্য ধ্বংশের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করা হলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে নমুনা রেখে দিয়ে অবশিষ্ট আলামত ধ্বংশের নির্দেশ দেন। আমরা আদালতের নির্দেশে কিছু আলামত সেম্পুল হিসেবে রেখে অবশিষ্ট আলামত ধ্বংশ করি।